আবার নিয়ন্ত্রণহীন ভোজ্যতেলের বাজার

|

বিশ্ববাজারে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম, তাই নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ছে স্থানীয় বাজারও। এর মধ্যে নতুন করে সরকারের কাছে আরেক দফায় দাম বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল উৎপাদকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয় ৮ টাকা। তবে এখনই দাম না বাড়ানোর পক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।

কয়েক দফায় দাম বেড়ে, অনেক আগেই নিম্নবিত্ত ক্রেতার নাগালের বাইরে চলে গেছে ভোজ্যতেল। নিত্য প্রয়োজনীয় এই পণ্য কিনতেই ক্রেতার যেন হাঁসফাঁস অবস্থা। করোনার কারণে বিশ্ববাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার অজুহাতে স্থানীয় বাজারে দফায় দফায় বাড়ানো হচ্ছে দাম। এদিকে সংসারের সার্বিক ব্যয় বাড়ায় গলদঘর্ম সাধারণ মানুষ।

১০০ টাকার বোতলজাত সয়াবিন তেল এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। কিন্তু এর পরও লিটারে ৮ টাকা বৃদ্ধির প্রস্তাব দিয়েছে ভোজ্যতেল উৎপাদকরা। নতুন প্রস্তাবে বলা হয়, বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির কারণে আগের দাম ধরে রাখা অসম্ভব। এক্ষেত্রে বোতলজাত সয়াবিন ১৬৮ টাকা এবং খোলা তেলের দাম ১৪৫ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়। এরই মধ্যে বাজারে শুরু হয়েছে দাম বাড়ানোর তোড়জোর।

তেলের দামের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সবপক্ষকে নিয়ে এরই মধ্যে বৈঠক করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে বিশ্ববাজার পর্যালোচনা, শুল্কহার হ্রাস, স্থানীয় মূল্য নির্ধারণে নতুন কৌশল খুঁজে বের করার পর নতুন দাম কার্যকরের পক্ষে সরকার।

প্রসঙ্গত, দেশে বছরে ভোজ্যতেলের চাহিদা ২০ লাখ টন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply