সালমানের প্রাক্তন প্রেমিকা সোমি আলি সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন, সালমান খানকে বিয়ে করতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে এসেছিলেন ভারতের মুম্বাইয়ে। তাও ১৬ বছর বয়সে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
সোমি আলির জন্ম অবশ্য পাকিস্তানের করাচিতে। ১২ বছর বয়স পর্যন্ত এই শহরে বসবাস করেছেন তিনি। এরপর পাড়ি দেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডাতে। কিন্তু বলিউড ভাইজানের টানে বেশিদিন থাকতে পারেননি সেখানে। ছুটে আসেন মুম্বাইয়ে, এরপর বলিউডের কয়েকটি সিনেমায়ও দেখা গেছে তাকে।
গণমাধ্যমের কাছে সোমি আলি জানিয়েছেন, সালমানের প্রেমে মজে সে বাড়ি ছাড়ার জন্য মায়ের কাছে কাকুতিমিনতি করতে থাকেন। এই অভিনেতাকে বিয়ে করতে মুম্বাই যাচ্ছি, মাকে বলেই চলে আসেন।
এমন সিন্ধান্তের পেছনে ওপরওয়ালার হাত রয়েছে, তা মনে করতেন সোমি। তার কথায়, সালমানকে স্বপ্নে দেখার পরই তাকে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই।
মুম্বাইয়ে এসে সালমানের সঙ্গে দেখাও হয়ে যায় সোমি আলির। মনের কথাটি সোমি আলি যখন সালমানকে জানিয়েছিলেন, তখন তারা নেপালের পথে রওনা দিয়েছিলেন। পাশের সিটেই বসা সালমানকে বলেছিলেন, ‘তোমাকে বিয়ে করতেই এত দূর থেকে এ দেশে এসেছি!’ বলিউড ভাইজানের জবাব ছিল, ‘আমার গার্লফ্রেন্ড রয়েছে।’
বান্ধবী থাকলেও তা পরোয়া করেন না, সে কথা সালমানকে জানিয়েছিলেন সোমি।
ওই কথোপকথনের বছরখানেক পর সম্পর্কের সূত্রপাতও ঘটে, সময়টা তখন ১৯৯১। তবে সালমানই নাকি প্রথমে বলেছিলেন, আই লাভ ইউ। ওই সময় সোমির বয়স মাত্র ১৭। নিজের থেকে প্রায় আট বছরের বড় সালমানের সঙ্গে সোমির সম্পর্ক টিকেছিল ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত।
সোমি আলির ভাষ্য, ‘এখন মনে হয়, সালমানকে বিয়ে করতে ঘরবাড়ি ছেড়ে ভারতে যাওয়াটা কী বোকামিই ছিল!’
সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর এক সময় আমেরিকায় ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সোমা আলি, এমনটাও জানিয়েছেন। এককালের এই নায়িকা এখন নিজের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার মাধ্যমে নারী অধিকারের লড়াইয়ে শামিল।
মজার বিষয় হলো, সালমান খান অভিনীত ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ সিনেমা দেখে এই অভিনেতার প্রেমে হাবুডুবু খেয়েছেন সোমি আলি। তখন স্কুলের গণ্ডিও পার হননি বলিউডের সাবেক এই অভিনেত্রী।
/এমএন
Leave a reply