সিনিয়র রিপোর্টার, সিরাজগঞ্জ:
সিরাজগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষ চলাকালে পিস্তল প্রদর্শনকারী সেই ৩ যুবকের আরেকজনকে ১৬ দিন পর গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে একটি পিস্তল ও এক রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়।
রোববার (১৬ জানুয়ারি) গভীর রাতে শহরের ধানবান্দি মহল্লার বি. এল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় । সে শহরের কোলগয়লা মহল্লার মৃত আব্দুল মান্নান হাজামের ছেলে।
এর আগে ১২ জানুয়ারি রাতে শহরের কোলগয়লা মহল্লার মৃত শামসু খলিফার ছেলে সুমন খলিফাকে (২৪) একটি প্লাস্টিকের খেলনা পিস্তল ও ৫টি তাজা হাতবোমাসহ গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত বায়েজিত নামে আরেকজন এখনও পলাতক রয়েছে।
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এস আই খোকন চন্দ্র সরকার বলেন, আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের পর ভাইরাল হওয়া পিস্তলের ভিডিওর সাথে উদ্ধারকৃত পিস্তলের মিল রয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে প্রতিপক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীদের ভয়ভীতি প্রদর্শন ও ত্রাস সৃষ্টির জন্য পিস্তলটি প্রদর্শন করা হয়েছিল বলে আটক যুবলীগকর্মী জনি হাজাম জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানিয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যেমে গণমাধ্যম কর্মীদের জানানোর কথা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি বলে সন্ধায় আপনাদের অবগত করা হলো।
প্রসঙ্গত, গত ৩০ ডিসেম্বর বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার জামিন ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে শহরের ইসলামিয়া সরকারি কলেজ মাঠে সমাবেশ করে বিএনপি। ওই সমাবেশে যাবার পথে সরকারী ডিগ্রি কলেজ সড়কে বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষ চলাকালে ৩ যুবককে পিস্তল প্রদর্শন করতে দেখা যায়। এ সংঘর্ষ একপর্যায়ে শহরের কয়েকটি পয়েন্টে ছড়িয়ে পড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। এসব ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে ৩টি এবং আওয়ামী লীগ কর্মী ও ছাত্রলীগ নেতারা আরও ৩টি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ এ পর্যন্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছেন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষ থেকে আদালতে একটি মামলা করা হয়েছে। যার তদন্ত করছে পিবিআই। গ্রেফতার জনি হাজাম বিএনপির দায়ের করা মামলার ৯০ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামি।
জেডআই/
Leave a reply