নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার স্বামী শাখাওয়াত আলী নোবেলসহ দুইজনকে র্যাব গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন নায়ক জায়েদ খান। রক্তমাখা গাড়িও উদ্ধার হয়েছে বলে দাবী তার। এ ঘটনায় দুলাভাইয়ের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। নিহতের ভাইকে সাথে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে নায়ক জায়েদ খান বলেন, চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির নির্বাচনকে নিয়ে নোংরা রাজনীতি চলছে। শিমু হত্যা ইস্যুতে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও দাবী তার।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) গভীর রাতে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নায়িকা শিমুর ভাই শহিদুল ইসলাম খোকন। এ হত্যাকাণ্ডের সন্দেহের তীর অভিনেতা জায়েদ খানের দিকে থাকায় রাতেই নিজ বাসভবনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করেন জায়েদ।
শিমুর ভাই জানান, প্রথম আসামি আমার বোন জামাই নোবেল। সে এবং ফরহাদ নামের একজন এ কাজ করেছে। তাদেরকে র্যাব গ্রেফতার করেছে, কেরাণীগঞ্জ থানার ওসি আমাদের হেল্প করেছেন। এর আগে আমার কাছে লাশ শনাক্ত করার জন্য একটা ফোন আসে কেরাণীগঞ্জ থেকে। সেখানে গিয়ে আমার বোনের লাশ শনাক্ত করেছি আমি নিজে।
সন্দেহের তীর জায়েদ খানের দিকে- এ প্রসঙ্গে কি বলবেন? জানতে চাইলে খোকন বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আল্লাহকে হাজির-নাজির মানি, এটা পুরাপুরি মিথ্যা। আমার বোনের প্রকৃত হত্যাকারীকে পাওয়া গেছে, সে ইতিমধ্যেই কেরাণীগঞ্জ থানায় গ্রেফতার হয়ে আছে। জায়েদ ভাই এটার সাথে কোনোভাবেই জড়িত না।
ভগ্নিপতিকে সন্দেহ করছেন কেন? জিজ্ঞেস করা হলে খোকন বলেন, তার গাড়ির মধ্যে রক্ত, তারা আটটা থেকে দশটা পর্যন্ত ছিল না, এই সময়ের মধ্যেই লাশ ফেলে দিছে, ড্রাইভার সব বলছে। আমার ভগ্নিপতি অ্যাডিক্টেড, আমি আর কিছু বলতে চাই না।
এ সময় পাশে দাঁড়ানো চিত্র নায়ক জায়েদ খান বলেন, এরকম নোংরা একটা ব্যাপারে আপনাদের সামনে কথা বলতে হবে তা আমি কখনও ভাবিনি। শিল্পী সমিতির নির্বাচন নিয়ে যে নোংরামী শুরু হয়েছে তার অবসান হওয়া দরকার। শিমু এবং তার ভাই দুজনই শিল্পী সমিতির সদস্য, আমি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। র্যাবকে ধন্যবাদ যে ইতোমধ্যেই তারা আসামিকে ধরে ফেলেছে, স্বীকারোক্তিও নিয়েছে।
/এসএইচ
Leave a reply