স্বামী ও শ্বশুরবাড়ি লোকজনের বিরুদ্ধে নির্যাতনের মামলা করে সুবিচার পাননি, তাই এবার মামলার টাকা জোগাড় করতে রক্ত বিক্রি করতে হাসপাতালে গেলেন এক নারী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।
খবরে বলা হয়, মামলার টাকা জোগাড় করতে তারকেশ্বর গ্রামীণ হাসপাতালে হাজির হন হুগলির পুরশুড়া থানা এলাকার ভাঙামোরার বাসিন্দা মধুমিতা পাল। এ ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতালে। যদিও হাসপাতালকর্মীরা তাকে বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন।
আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, মধুমিতার বাড়ি পান্ডুয়া থানা এলাকায়। ১০ বছর আগে ভাঙামোরা গ্রামের বাসিন্দা দিলীপ পালের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে দুই সন্তানও রয়েছে। মধুমিতার অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই তার ওপর অত্যাচার শুরু হয়। যৌতুকের টাকার জন্য দিনের পর দিন তাকে চাপ দেয়া হয়। তাকে মারধর করা হয়। মানসিক নির্যাতনেরও অভিযোগ করেন মধুমিতা। পরে বাধ্য হয়ে গত নভেম্বর মাসে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে পুরশুড়া থানায় অভিযোগ জানান তিনি।
মধুমিতা বলেন, পুরশুড়া থানা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। মামলা পান্ডুয়া থানায় পাঠিয়ে দেয়া হয়। সেখান থেকেও কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। আমাকে দিনের পর দিন ঘোরানো হয়েছে। পরে থানার এক মুহুরির পরামর্শে চুঁচুড়া আদালতে মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই মামলার খরচ চালাতেই সোমবার হাসপাতালে রক্ত দিতে গিয়েছিলেন মধুমিতা।
তিনি বলেন, সন্তানদের দেখভাল করেন না স্বামী। তারা আমার বাবার বাড়িতে রয়েছে। আমি একটা ভাড়া বাড়িতে থাকি। কিন্তু এভাবে সংসার চালাতে পারছি না। কী করবো বুঝতে না পেরে এখানে রক্ত দিতে চলে এসেছি। এক কাপড়ে কতদিন থাকা যায়! আমার অনেক জিনিস, ডকুমেন্টস সব শ্বশুরবাড়িতে রয়েছে। তারা সেগুলো আটকে রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি না জেনেই চলে এসেছি। এবার কী করবো বুঝতে পারছি না। সবাই শুধু টাকা চায়। কোথায় পাবো এতো টাকা।
আরও পড়ুন: মাস্ক না পরায় পুলিশকর্মীকেই টেনেহিঁচড়ে গাড়িতে তুললো পুলিশ!
এদিকে পান্ডুয়া থানার পুলিশ জানিয়েছে, আদালতে মামলা করেছেন ওই নারী। স্ত্রী নির্যাতনের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযুক্তদের নোটিশও দেয়া হয়েছে। তার সব জিনিসপত্র উদ্ধার করে দেয়া হবে।
ইউএইচ/
Leave a reply