ভারতের কর্নাটকের উদুপির একটি সরকারি কলেজের ৬ জন মুসলিম ছাত্রী গত কয়েক সপ্তাহ যাবত ক্লাসে বসতে পারছেন না। বাধ্য হচ্ছেন সিঁড়ি বা করিডোরে বসে ক্লাস করতে। তাদের অভিযোগ, হিজাব পরে ক্লাস করছি এটা শিক্ষকরা পছন্দ করেন না, বকা দিয়ে বের করে দেন। নিয়মিত কলেজে গেলেও অ্যাটেন্ডেন্স পাচ্ছেন না তারা। খবর আলজাজিরার।
মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) আলজাজিরাকে ওই ছাত্রীরা জানান, গত ডিসেম্বরে আমাদের ক্লাস শুরু হয়, ক্লাসে ঢোকার সাথে সাথে টিচার চিৎকার করে বললেন, গেট আউট। মুসলিম মেয়েরা যারা স্কার্ফ বা হিজাব পরে আসে তাদেরকে ক্লাসে বসতে দেয়া হয় না বলে অভিযোগ আলমাস নামের এক ছাত্রীর। তিনি বলেন, ক্লাসের দরজায় দাঁড়িয়ে আমাদের টিচার স্কার্ফ খুলে ফেলতে বলেছেন।
এ ঘটনার পর থেকেই ওই ৬ মুসলিম ছাত্রী ক্লাসরুমে বসে পড়াশোনা করতে পারছেন না। কলেজ কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ দেয়ার পরও এখন পর্যন্ত তারা কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ক্লাসরুমে না থাকায় হাজিরা খাতায় তাদের অনুপস্থিত দেখানো হচ্ছে। ৩১ ডিসেম্বরের পর থেকে এ পর্যন্ত কোনো অ্যাটেন্ডেন্স পাননি তারা। তবে এত সহজে হাল ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন তারা। এ ৬ জনের একজন আলিয়া আসাদি, তিনি বলেন, সহজে ছাড়বো না, লেগে থাকবো। হিজাব আমার বিশ্বাস, তাদের বোঝা উচিত যে আমি আমার মাথা ঢাকছি মস্তিস্ক না।
ইতোমধ্যে, তাদের সিঁড়িতে বসে পড়াশোনা করার একটি ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। উঠেছে সমালোচনার ঝড়।
/এসএইচ
Leave a reply