তীব্র তুষারঝড়ে বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা। এখনও অব্যাহত থাকা ভারি তুষারপাতে সৃষ্ট দুর্যোগের প্রভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিদ্যুৎহীন অবস্থায় আছেন যুক্তরাষ্ট্রের ১১টি অঙ্গরাজ্যের প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা। দুর্যোগ কবলিত এলাকার বাসিন্দারা বাধ্য হচ্ছেন ঘরবন্দি অবস্থায় দিনাতিপাত করতে। যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত দু’জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। বৈরি আবহাওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক ও বিমান যোগাযোগ, জারি হয়েছে জরুরি অবস্থা। সপ্তাহজুড়েই ভারি তুষারপাত ও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া বিভাগ।
যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইয়ো রাজ্যে সর্বোচ্চ আড়াই ফুট পর্যন্ত বরফের আস্তর জমা হয়েছে। পুরু তুষারের চাদরে ঢেকে গেছে মাইলের পর মাইল এলাকা। তবে বুধবার (১৯ জানুয়ারি) রাতে আবারও ঝড়ের পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়াবিদরা। প্রকৃতির এই বিরূপ আচরণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। তুষারের কারণে নর্থ ক্যারোলাইনা রাজ্যে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুজন। পুরু বরফে সড়ক ঢাকা পড়ে যাওয়ায় অনেক অঞ্চলেই বন্ধ হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। এছাড়া বাতিল করা হয়েছে হাজার হাজার ফ্লাইট। রাস্তা থেকে বরফ সরাতে চলছে অভিযান।
আরও পড়ুন: মারা গেলেন বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক ব্যক্তি
তুষারঝড়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে কানাডার কুইবেক ও অন্টারিওতেও। দুর্যোগ কবলিত এলাকাগুলোয় সতর্কতা জারি করেছে প্রশাসন। আগামী সপ্তাহ পর্যন্ত থাকতে পারে এমন পরিস্থিতি, আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এদিকে, বৈরি আবহাওয়ার মধ্যেও তুষারপাত উপভোগ করছেন অনেকে। কয়েকটি এলাকায় তুষারপাতের মাত্রা কমে আসায় স্কি, রোপ রাইডের মত খেলায় মেতেছেন বাসিন্দারা।
আরও পড়ুন: বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্র টোঙ্গা
Leave a reply