রাত পোহালেই মাঠে গড়াবে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের অষ্টম আসর। গেল ৭ আসরে বিভিন্ন রেকর্ডে বিপিএলকে উজ্জ্বল রেখেছে দেশি বিদেশি খেলোয়াড়রা। এখন পর্যন্ত বিপিএলের সবকটি আসরের রেকর্ড দেখে নেয়া যাক।
২০১২ সালে শুরু হওয়া বিপিএলে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৩ বার শিরোপা জিতেছে ঢাকা। ২ বার গ্ল্যাডিয়েটর ও একবার ডায়নামাইটস নামের ফ্র্যাঞ্চাইজি গড়ে শিরোপা জিতেছে ঢাকা। ৯২ ম্যাচ খেলে ঢাকার ৫৫ জয়ের বিপরীতে আছে ৩৭টি হার। সবচেয়ে বেশি হার হজম করতে হয়েছে চট্টগ্রামকে।
বিপিএলে দলীয় সর্বোচ্চটি আছে রংপুরের অধিকারে। ৪ উইকেটে করা ২৩৯ রানই হচ্ছে বিপিএলের সেরা সংগ্রহ। এদিকে রংপুরের বিপক্ষে মাত্র ৪৪ রানে অলআউট হয়ে দলীয় সর্বনিম্ন সংগ্রহ করেছে খুলনা।
ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের রেকর্ডটি আছে উইকেট রক্ষক ব্যাটার মুশফিকুর রহিমের দখলে। ৮৫ ম্যাচে মুশফিকের রান ২ হাজার ২৭৪। এরপরই আছেন তামিম-রিয়াদ-ইমরুল।
টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা ক্রিস গেইলের ৬৯ বলে ১৪৬ রান বিপিএলে এখন পর্যন্ত ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ। ৪২ ম্যাচে ১৩২ ছক্কা হাকিয়ে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডটাও রয়েছে গেইলের নামে। এক ইনিংসে সর্বোচ্চ ১৮টি ছক্কা মারার রেকর্ড আছে ইউনিভার্স বসের।
এদিকে বল হাতে ১০৬ উইকেট নিয়ে সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড আছে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের। তাছাড়া ২০১৯ সালে ২৩ উইকেট নিয়ে মৌসুম সেরা উইকেট সংগ্রহের রেকর্ড গড়েছেন তিনি। উইকেট শিকারের তালিকায় সাকিবের পরে আছেন রুবেল-মাশরাফী-শফিউলরা। সেরা বোলিং ফিগারের রেকর্ড রয়েছে পাকিস্তানের মোহাম্মদ আমিরের। মাত্র ১৭ রান দিয়ে তিনি নিয়েছিলেন ৬টি উইকেট।
অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। সর্বোচ্চ সংখ্যক ৮৬ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করেছেন এই ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ নেতৃত্ব দিয়েছেন ৭৬ ম্যাচে। এছাড়া মুশফিক ৭৩ ও সাকিব ৬৪ ম্যাচে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কুমিল্লার নেতৃত্বে ইমরুল কায়েস
বিপিএলে উইকেটের পেছনে ৫৬ ইনিংসে ৫৭ ডিসমিসাল করে সবার ওপরে আছেন নুরুল হাসান সোহান। এরপর আছেন মুশফিক-বিজয়-লিটনরা।
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৮২ ম্যাচে ৪৫টি ক্যাচ বিপিএলে সর্বোচ্চ। আর সর্বোচ্চ ডাক বা শূন্য রানে আউট হওয়ার তিক্ত রেকর্ডটি আছে এনামুল হক বিজয়ের। ১১ বার শূন্য রানের আউট হয়েছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। ১০ বার শূন্য রানে আউট হয়ে বিজয়ের পরেই আছেন কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস।
Leave a reply