হু হু করে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, চাপ বেড়েছে হাসপাতালগুলোতে

|

দেশের প্রথম করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল। চিকিৎসা, নমুনা পরীক্ষা, টিকা নেয়াসহ নানা কারণে প্রতিদিনই হাজারো মানুষের আনাগোনা এই হাসপাতালে। সম্প্রতি করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় এখানে আরও চাপ বেড়েছে। দু’সপ্তাহ আগে যেখানে ভর্তি ছিলেন মাত্র ২০ জন রোগী, এখন সেই সংখ্যা দেড়শ ছাড়িয়েছে।

দেশে অস্বাভাবিক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালগুলোতেও তাই রোগীর চাপ। নতুন করে প্রস্তুতি নিচ্ছে হাসপাতালগুলো। বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী আর অক্সিজেন সরবরাহ। শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি থাকায় দ্রুত করোনা পরীক্ষা ও সেবা নেয়ার পরামর্শ চিকিৎসকদের।

হাসপাতালেও বেড়েছে স্বাস্থ্যকর্মী, নার্স ও চিকিৎসকদের ব্যস্ততা। তারা বলছেন, করোনা থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই। কুর্মিটোলা কর্তৃপক্ষ বলছে, সেন্ট্রাল অক্সিজেন ও সিলিন্ডার মিলিয়ে একসঙ্গে ১২শ’ মানুষকে করোনার চিকিৎসা দেয়া সম্ভব। সক্ষমতা বাড়ানো হচ্ছে চিকিৎসক, নার্সের।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল সহকারী পরিচালক লে. কর্নেল নাজমুল হুদা খান জানান, আমাদের এখানে ২০০ জন ডাক্তার আছেন। সম্প্রতি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে আরও ১০০ জন ডাক্তার, ১০০ জন নার্স ও ৭৬ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে এখানে নিয়োগ করে হয়েছে। যদি করোনা সংক্রমণ আরও বেড়ে যায় তবুও আশা করছি সমস্যা হবে না। আমরা চাপ সামাল দেয়ার জন্য প্রস্তুত।

মহাখালীর ডিএনসিসি করোনা হাসপাতাল, মুগদা হাসপাতাল ও ঢাকা মেডিকেলের করোনা ইউনিটেও বাড়ছে রোগী।

ঢাকা মেডিকেল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, যারা আজকে সংক্রমিত হচ্ছে তারা আমাদের কাছে আসবে আরও ১০ দিন পর। তখন বুঝতে পারবো আসলে চাপটা কেমন।

ডিএনসিসি করোনা হাসপাতালের ডা. ফাতেমা তুজ জোহরা জানান, অক্সিজেন যোগান দেয়া প্রতিষ্ঠানগুলোকে অতিরিক্ত অক্সিজেন সরবরাহের জন্য ইতোমধ্যেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদেরকেও প্রস্তুত থাকতে বলা আছে।

করোনার ওমিক্রন ধরনে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। একই সাথে ডেলটা ভ্যারিয়েন্টও কার্যকর। তাই স্বাস্থ্যবিধি মানার পাশাপাশি, সবাইকে ভ্যাকসিন গ্রহণের ওপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply