লকডাউনের মধ্যে মদের পার্টি করায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবির মধ্যেই এবার ব্রিটিশ আইনপ্রণেতাদের ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ উঠেছে বরিস জনসনের বিরুদ্ধে। যেসব আইনপ্রণেতারা বরিস জনসনের পদত্যাগের পক্ষে ভোট দিতে পারেন তাদের ব্ল্যাকমেইল করার অভিযোগ খোদ ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির নেতাদেরই। এদিকে, বরিস জনসন পদত্যাগ করলে, কে হতে পারেন নতুন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়েও চলছে আলোচনা।
লকডাউনের মধ্যেই সরকারি বাসস্থান ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মদের পার্টি করা নিয়ে তোলপাড় চলছে বেশ কিছুদিন ধরেই। বিরোধী দল তো বটেই, খোদ নিজ দল কনজারভেটিভ পার্টি থেকেই বরিস জনসনের পদত্যাগের দাবি উঠেছে।
এরইমধ্যে নতুন ইস্যুতে উত্তেজনার পারদ চড়লো ব্রিটিশ রাজনীতিতে। অভিযোগ উঠেছে, যেসব আইনপ্রণেতারা বরিস জনসনকে অনাস্থা জানাতে পারেন তাদের ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। চাপ দেয়া হচ্ছে বিভিন্ন ইস্যুতে।
কনজারভেটিভ পার্টি পার্লামেন্ট সদস্য উইলিয়াম র্যাগ বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক যে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ঠেকাতে আইনপ্রণেতাদের ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে। তাদের নির্বাচনী আসনের উন্নয়নের জন্য বরাদ্দ অর্থ আটকে দেয়ার হুমকিও দেয়া হচ্ছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এই অভিযোগের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।
যদিও এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন বরিস জনসন। তিনি বলেন, এসব অবান্তর অভিযোগের পক্ষে কোনো তথ্য বা প্রমাণ দেখাতে পারবে না কেউ। আর এসব ইস্যু আমি গুরুত্ব দিচ্ছি না। আমার লক্ষ্য করোনাভাইরাসের হুমকি মোকাবেলা।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে বিতর্কের মাঝেই নতুন আলোচনা, যদি পদত্যাগ করতেই হয় বরিস জনসনকে, তাহলে কে হতে পারেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। এরইমধ্যে আলোচনা চলছে বেশ কয়েকজনকে নিয়ে। তারমধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাক। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত অর্থনীতি পুনর্গঠনে বিশেষ প্রণোদনা, বেকারদের ভাতা এবং কর্মসংস্থান প্রকল্পের কারণে ইতিবাচক ইমেজ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি।
নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে এরপরই আলোচনায় আছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী লিজ ট্রস। ব্রেক্সিট সংকট সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি কনজারভেটিভ পার্টিতে বিরাট প্রভাব তার। ট্রসের মাঝে অনেকেই আয়রন লেডিখ্যাত সাবেক প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচারের ছায়াও খুঁজে পান।
এরপরই আছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। করোনা সংকট সামাল দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখা সাজিদ এর আগে পালন করেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। এছাড়াও পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় আলোচনায় আছেন ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ডমিনিক রাব এবং সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট।
Leave a reply