র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান আর ব্রিটিশরা, এমন মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। র্যাব সম্পর্কে আমেরিকা একতরফা ও ভুল তথ্য পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার নগদিপুর গ্রামের ৪টি স্কুল পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, র্যাব কাজেকর্মে অত্যন্ত দক্ষ এবং খুবই ইফেক্টিভ। এজন্যই জনগণের আস্থা তারা অর্জন করেছে। দেশে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড তাদের জন্যই কমে গেছে। গত কয়েক বছরে হলি আর্টিজানের পর আর কোনো সন্ত্রাসী কার্যক্রম হয়নি। এটা সম্ভব হয়েছে র্যাবের তৎপরতার জন্য। স্বয়ং ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট সেটা স্বীকারও করেছে।
যারা আইনশৃঙ্খলা পছন্দ করে না তারা, যারা দেশে অঘটন ঘটাতে চায় তারা র্যাবের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অপপ্রচার শুরু করেছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, কিছু ব্যাপার একতরফাভাবে জানানো হয়েছে। সব দেশেই লো এনফোর্সমেন্ট করতে গিয়ে কিছু মৃত্যু হয়। বাংলাদেশেও কয়েকটি হয়েছে, আগে আরও বেশি ছিল।
এসময় র্যাবের ট্রেনিং নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই র্যাব তৈরি করেছে আমেরিকান আর ব্রিটিশরা। দে হ্যাভ বিন ট্রেইনড বাই ইউএসএ। ইউএসএ তাদের শিখিয়েছে রুলস অফ অ্যাংগেজমেন্ট। কীভাবে মানুষের সাথে বিহেভ করতে হবে, হাউ টু হ্যাভ ইন্টারোগেশন, এগুলো অল দে ওয়্যার ট্রেইন্ড বাই ইউনাইটেড স্টেটস অফ আমেরিকা। তো ওদের রুলস অফ অ্যাংগেজমেন্টে কোনো দুর্বলতা থাকে বা কোনো হিউম্যান রাইটস ভায়োলেট হয়, অফকোর্স উই উইল এনকারেজ দেম টু গো থ্রু অ্যানাদার রিফ্রেশার্স কোর্স। প্রয়োজনে র্যাবের জন্য আবার নতুন করে ট্রেনিং হবে। কিন্তু, কোনো ব্যক্তি বিশেষের ওপরে যে নিষেধাজ্ঞাগুলো দিয়েছে সেগুলো কিন্তু জাস্টিফাইড না। চাকরি করে বলেই শাস্তি দিতে হবে, ইটস নট ফেয়ার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, আর আমরা যদি বলি যে মানুষ মিসিং, ওরা বলেছে যে গত ১০ বছরে ৬০০ মানুষ মিসিং হয়েছে। আর আমেরিকাতে প্রতিবছর ১ লক্ষ মিসিং হয়, এর দায়দায়িত্ব কে নেবে? আর আমাদের দেশে যারা মিসিং হয় দেখা যায় যে কয়েকবছর পর তারা আবার ফিরে আসে।
/এসএইচ
Leave a reply