আমাজনে ২০ হাজারের বেশি অবৈধ স্বর্ণখনির সন্ধান

|

ছবি: সংগৃহীত

ব্রাজিলে আমাজন বন ধ্বংস করে তৈরি করা হচ্ছে অবৈধ স্বর্ণখনি। পুরো বনাঞ্চলজুড়ে ২০ হাজারের বেশি অবৈধ স্বর্ণখনির সন্ধান পেয়েছে বার্তা সংস্থা এপি। আর এসব স্বর্ণখনি পরিচালনার কাজে পাচারকারীরা ব্যবহার করছে বিমান। একটি দুটি নয়, শতাধিক বিমান রয়েছে এই অবৈধ স্বর্ণখনি ব্যবসায়ীদের কাছে। মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর টহলের ওপর নজরদারি এবং স্বর্ণ পাচারে ব্যবহৃত হয় এসব বিমান।

কালোবাজারে এক আউন্স স্বর্ণের দাম প্রায় ১৮শ’ ডলার। তাই দিনকে দিন প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করে তৈরি হচ্ছে এসব খনি। ইগারাপে ইনস্টিটিউটের গবেষক রবার্ট ম্যাগাহ জানান, কালোবাজারে স্বর্ণের উচ্চমূল্য থাকায় দিনকে দিন এসব অবৈধ খনির সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গেল এক বছরেই অবৈধ খনির সংখ্যা বেড়েছে কয়েকশ’।

বার্তা সংস্থা এপির বিশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়, এসব খনি এতটাই গহীনে যে সেখানে আদিবাসী ছাড়া অন্য কারো বসবাস নেই। এরমধ্যেই ৪০টি রানওয়ের অস্তিত্ব পাওয়া গেছে। মূলত নিরাপত্তা বাহিনীর টহল নজরদারিতে ব্যবহৃত হতো এসব বিমান। এর পাশাপাশি খননের জন্য সুবিধাজনক জায়গা খোঁজা আর স্বর্ণ পাচারের কাজ তো করেই।

রবার্ট ম্যাগাহ আরও জানান, সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় হলো এসব অবৈধ খনির কারণে আদিবাসীদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। তাদের বাসস্থানই শুধু নয়, আদিবাসীদের পুরো জীবনযাত্রা সংকটের মুখে পড়েছে পাচারকারীদের কারণে।

কর্তৃপক্ষ বলছে, স্থানীয় প্রভাবশালীরা জড়িত এই স্বর্ণখনিগুলোর সাথে। স্বর্ণ পাচার থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে তৈরি করা হয় রিসোর্ট, রেস্তোরাঁ, হোটেল এবং বার।

রবার্ট ম্যাগাহ বলছে, যারা প্রভাবশালী তাদের সাথে রাজনীতিকদের সরাসরি যোগাযোগ রয়েছে। ফলে এসব স্বর্ণ পাচারকারীরা সব সময়ই ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। এমনকি সরকারও এদের নিয়ে উচ্চবাচ্য করে না।

ব্রাজিল কর্তৃপক্ষ বলছে, এরইমধ্যে অভিযান চালিয়ে ধ্বংস করা হয়েছে অর্ধশত বিমান। তবে এখনও পাচারকারী এবং স্বর্ণখনির মালিকদের বড় অংশ ধরাছোঁয়ার বাইরে।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply