নিজেদের প্রথম ম্যাচে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ২ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট সানরাইজার্সকে। লো-স্কোরিং ম্যাচে মাত্র ৯৬ রানে অলআউট হয়ে যায় সিলেট। জবাবে ৮ বল হাতে রেখে কোনোরকমে সেই লক্ষ্য পার হয় সাবেক চ্যাম্পিয়নরা। অলরাউন্ড পারফরমেন্সের জন্য ম্যাচসেরা হন কুমিল্লার নাহিদুল ইসলাম।
মিরপুরের সকালের গুমোট আবহাওয়ায় টস জিতে বল হাতে নিতে দেরি করেননি কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। নাহিদুল এর হাত ধরে দলীয় ৭ রানে আসে প্রথম সফলতা। ৩ রানে এনামুল বিজয়ের বিদায়। বাঁহাতি কলিন ইনগ্রামকে অনেকবার মোস্তাফিজ বোকা বানিয়েছেন, তবে আউট করতে পারেননি। আবহাওয়া আর উইকেট পক্ষে থাকায় বিধ্বংসী বল করছিলেন মোস্তাফিজ।
মিঠুন-মোসাদ্দেক-কাপালিরাও বলি হননি মোস্তাফিজের বলে। বরং স্পিনাররা চেপে ধরেন। ইনগ্রামের ২০, বোপারার ১৭ ও সোহাগ গাজীর ১২ রান আর এর সাথে অতিরিক্ত রান আসে ১৯। শহিদুল, মোস্তাফিজ ও নাহিদুল নেন ২টি করে উইকেট।
মামুলি রান তাড়া করতে নেমে সোহাগ গাজীর স্পিন বিষে নীল হয় কুমিল্লার দুই ওপেনার ডু প্লেসি ও ক্যামেরোন ডেলপোর্ট। এরপর মুমিনুল-ইমরুলরা হাল ধরার চেষ্টা করেন। তবে মোসাদ্দেকের ঘূর্ণিতে থেমে যায় সেই চেষ্টা। মুমিনুল ১৫ আর ইমরুল ১০ রানে ফেরেন।
৪৫ রানে ৪ টপ অর্ডারকে হারিয়ে বিপাকে পড়া কুমিল্লাকে চেপে ধরেন বাঁহাতি স্পিনার নাজমুল অপু। তার শিকার ৩ উইকেট। এরপর ১৩ বলে ১৮ রান করা করিম জান্নাতকে ফেরান বল হাতে দুর্দান্ত তাসকিন। তবে তাকে টিভি স্ক্রিনে দেখানো হয় বাঁহাতি ফার্স্ট বোলার হিসেবে, যেটা জন্ম দেয় সমালোচনার।
শেষ পর্যন্ত মামুলি ৯৬ রান ডিফেন্ড করার হয়নি সিলেটের। মাইদুল অংকনের দৃঢ়তায় ২ উইকেটের জয় দিয়ে আসর শুরু করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।
জেডআই/
Leave a reply