সব ধরনের গ্যাসের দাম দ্বিগুণেরও বেশি বাড়াতে চায় সরকার। গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ বাড়াতে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনে প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণকারী ছয় কোম্পানি। এতে ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ। কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন বলছে, এ ধরনের প্রস্তাব কেবল অযৌক্তিক নয়, বেআইনীও। বিশ্ব বাজারের সাথে সঙ্গতি রেখে দাম বাড়ানো হলে, সেটি সহনীয় হবে কিনা, সে প্রশ্নও তুলছেন বিশেষজ্ঞরা।
গড়ে প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম এখন ৯ টাকা ৩৬ পয়সা। সেই দাম এক লাফে ২০ টাকা ৩৫ পয়সা করতে চায় তিতাসসহ সরকারি ছয় কোম্পানি। দুই চুলার জন্য ২ হাজার ১০০ আর এক চুলার জন্য ২০০০ টাকা মাসিক বিল করার প্রস্তাব করেছে তারা। মিটার চালিত চুলায় ১২ টাকার ইউনিট ২৭ টাকা করতে চায় তারা।
এর বাইরে সিএনজি, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, ক্যাপটিভসহ ছোট বড় শিল্প কারখানা সবখানেই ১১৭ শতাংশের বেশি দাম বাড়াতে চায় সরকার। সার কারখানা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবখানে একই হারে দাম বাড়ানোর তৎপরতা।
সরকার বলছে, গ্যাস-বিদ্যুৎ ও সারে চলতি অর্থবছরে ভর্তুকি লাগবে ৭০ হাজার কোটি টাকা। অথচ বাজেটে বরাদ্দ আছে সাড়ে ১২ হাজার কোটি। এর মধ্যে জ্বালানি খাতে বরাদ্দ মাত্র ৪ হাজার কোটি টাকা। তাছাড়া বিশ্ববাজারে এলএনজি’র দামও বেড়েছে কয়েকগুণ।
এলএনজি’র বাড়তি দামকেও হিসাবে ধরতে চায় না কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন। তারা বলছে, এগুলো অজুহাত। সরবরাহ করা গ্যাসের মাত্র ৫ শতাংশ বাড়তি দামে কেনা এলএনজি। আর দাম বাড়ানোর প্রস্তাবও বেআইনী।
২০১৯’র জুলাইয়ে প্রায় ৩৩ শতাংশ বাড়ানো হয় সব ধরণের গ্যাসের দাম। তখন থেকে ৮০০ টাকার দুই চুলার বিল ৯৭৫ টাকা। গেল নভেম্বরে ডিজেল ও কেরেসিনের দাম লিটারে বেড়েছে ১৫ টাকা।
/এনএএস
Leave a reply