চাঁদপুর রুটের বেশিরভাগ লঞ্চেই নেই গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি

|

ছবি: সংগৃহীত

লঞ্চ পরিচালনার জন্য জিপিএস, ইকো সাউন্ডারসহ যেসব গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি থাকার কথা তা নেই চাঁদপুরের বেশিরভাগ লঞ্চে। আবার কিছু লঞ্চে থাকলেও তা অচল হয়ে পড়ে আছে। নৌশ্রমিক নেতারা বলছেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতাই এর জন্যে দায়ী। অন্যদিকে, বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের দাবী, সরকারি দফতরের সদিচ্ছা থাকলেও উদাসীন লঞ্চ মালিকরা।

বৈরি আবহাওয়ায় দুর্ঘটনা এড়াতে লঞ্চে জিপিএস, রাডার, ইকো সাউন্ডারসহ বেশ কিছু যন্ত্রপাতি থাকা অত্যন্ত জরুরি। কিন্তু চাঁদপুর রুটের বেশিরভাগ লঞ্চেই নেই এসব যন্ত্রপাতি। আবার কয়েকটিতে থাকলেও তা অচল। ফলে নৌযান নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খেতে হয় চালকদের।

লঞ্চ শ্রমিক নেতারা বলছেন, শুধু দক্ষ চালকই নয়, দুর্ঘটনা এড়াতে আধুনিক যন্ত্রপাতির বিকল্প নেই। সংশ্লিষ্ট দফতর ইচ্ছে করলেই ধীরে ধীরে এসব ইকুয়েপমেন্টস স্থাপনের নির্দেশ দিতে পারে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়া হয়।

জানা গেছে, নিরাপদ লঞ্চযাত্রা নিশ্চিতে বিভিন্ন বিষয় মনিটরিংয়ের জন্য চাঁদপুর ঘাটে তিনজন ট্রাফিক ইন্সপেক্টর রয়েছেন। বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তাদের দাবি, সরকারি দফতরের সদিচ্ছা থাকলেও, লঞ্চ মালিকরা গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতি সংযোজনের বিষয়টি আমলে নিচ্ছেন না।

এদিকে, লঞ্চ মালিক সমিতির প্রতিনিধিদের দাবি, ছোট নৌযানগুলো ছাড়া, বেশিরভাগ লঞ্চেই আছে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি।

উল্লেখ্য, চাঁদপুর-ঢাকা, চাঁদপুর-নারায়গঞ্জ রুটে চলাচল করে প্রায় একশ’ লঞ্চ। মনিটরিং বাড়ালে ভবিষ্যতে নৌ দুর্ঘটনা কমে আসবে বলে মনে করেন যাত্রীরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply