আওয়ামী লীগের জনসভায় নির্বিচার গুলিবর্ষণের ৩২ বছর

|

চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভায় নির্বিচার গুলিবর্ষণে নৃশংস গণহত্যার ৩২ বছর আজ। ২৪ জনকে হত্যা এবং ২ শতাধিক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভয়াবহ সেই দিনের কথা ভেবে আজও আঁতকে ওঠেন প্রাণে বেঁচে যাওয়া নেতাকর্মীরা। প্রায় ৩ দশক পর বহুল আলোচিত এই গণহত্যা মামলার ঘোষিত রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি ভুক্তভোগীদের।

৩২ বছর আগে চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার জনসভায় নির্বিচার গুলিবর্ষণে নিহত ২৪ জনের স্মরণে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নিচে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিসোধ। আজ সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকাল থেকে আওয়ামী লীগ এবং বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জড়ো হন ওই স্মৃতিসৌধে। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সেদিনের নৃশংসতায় নিহতদের প্রতি।

দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে চাঞ্চল্যকর এ মামলায় ৫ জানের ফাঁসি ও বাকিদের বিভিন্ন মেয়াদে সাজা হয়েছে। উচ্চ আদালতেও যাতে এই রায় বহাল থাকে এমনটাই আশা নিহতদের পরিবারের। নৃশংস এই গণহত্যার নেপথ্যে জড়িতদেরকেও শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানালেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন।

১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি লালদীঘি ময়দানে ছিল আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। তার গাড়িবহর আদালত ভবনের নিচ দিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গুলিতে ২৪ জন নেতাকর্মী নিহত এবং আহত হয় অন্তত ২শ জন।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply