৪৮ ঘণ্টা আলটিমেটাম দিলেন ভোলার শিক্ষার্থীরা

|

ভোলায় প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা।

ভোলা প্রতিনিধি:

‘পরিবারের বোঝা হওয়া থেকে মুক্তি চাই, চলমান পরীক্ষা স্থগিত চাই না’, ‘সেশনজট মুক্ত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চাই’. ‘খেলা হয় মেলা হয়, পরীক্ষা দিতে কিসের ভয়’- এমন নানা শ্লোগানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থগিত পরীক্ষা নেয়ার জন্য মানববন্ধন করেছেন ভোলার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থীরা। এসময় পরীক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার জন্য ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেন শিক্ষার্থীরা। এ সময়ের মধ্যে তাদের দাবি পূরণ না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) ভোলা প্রেসক্লাব চত্বরে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। এতে ভোলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য কলেজের কয়েকশ শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান সময়ে বাণিজ্য মেলা, বিপিএলসহ সবকিছুই আগের মতো চলছে। কিন্তু হঠাৎ করে আমাদের চলমান পরীক্ষা বন্ধ করে দেয়ার কোনো যৌক্তিক কারণ খুজে পেলাম না। সবকিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারলে আমাদের পরীক্ষা চলবে না কেন? আমরাতো আর শিশু নই, আমাদের এখন বয়স হয়েছে। আমরা অন্যান্যদের চাইতে বেশি সচেতন। একদিকে পরিবার আমাদেরকে চাকরি করার জন্য চাপ দিচ্ছে অন্যদিকে দিন দিন আমাদের বয়স বাড়ছে কিন্তু আমাদের অনার্স শেষ হচ্ছে না। এতে করে আমরা সরকারি চাকুরীতে আবেদনের সুযোগ হারাচ্ছি। করোনাভাইরাস কোনো সাময়িক মহামারি নয়, এটা সহজে সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করাও সম্ভব নয়। তাই আমাদের দাবি সংশোধিত রুটিন প্রকাশ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অতি দ্রুত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের চলমান পরীক্ষা নিতে হবে। আমরা ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছি। এই সময়ের মধ্যে কোনো নির্দেশনা না পেলে আমরা কঠোর অবস্থানে যেতে বাধ্য হবো।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, ভোলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী এইচ এ শরীফ, মো. রায়হান, শাকিল মাতব্বর, আসমাউল হুসনা হ্যাপি, মো. সাব্বির হোসেন, মো. হান্নান, সুহাস, জয়ন্ত সাহা, সাইফুল, মো. আরমান হোসেন, মো. সোহাগ হোসেন, মো. আকবর হোসেন, মো. শিহাব, মাকসুদুর রহমান প্রমূখ।

মানববন্ধন শেষে ভোলার জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

উল্লেখ্য, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থীদের চলমান পরীক্ষা করোনা ভাইরাস মহামারির জন্য হঠাৎ করেই স্থগিত করা হয়। এ সিদ্ধান্তে হতাশ পরীক্ষার্থীরা।

/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply