পাবনা প্রতিনিধি:
পাবনার রাশিদা খাতুন নামের এক বিধবা নারীকে শিকল দিয়ে বেঁধে জমি দখল করে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে সৎ মেয়ের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীদের দাবি, অভিযোগ করার পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি ট্রিপল নাইনে ফোন করা হলে একজন এসআই এসে দখলকারীদের পক্ষ নেন। ইতোমধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে অমানবিক সে ঘটনার ভিডিও, যা নিয়ে চলছে তীব্র সমালোচনা।
পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানা যায়।
জানা গেছে, শুক্রবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে চাঁদভা ইউনিয়নের বাঐখোলা গ্রামে একই এলাকার রহিম উদ্দিনের এর ছেলে রমিজ উদ্দিন ও রোজিনা গং লাঠি-সোটা নিয়ে বিধবা রাশিদাকে বেদম মারপিট করে হাতে শিকল দিয়ে
বেঁধে রেখে জমির উপর টিনের ঘর তুলে তার জমি দখল করে নেয়।
এ সময় স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে ঘটনার ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে ছেড়ে দিলে সেই ভিডিও ভাইরাল হয়, ওঠে সমালোচনার ঝড়।
বিধবা রাশিদা খাতুনের অভিযোগ, রমিজ উদ্দিন গং শুক্রবার দুপুরের দিকে প্রায় অর্ধশতাধিক লোকজন নিয়ে এসে তাকে মারপিট করে শিকল দিয়ে বেঁধে তার ২০ শতাংশ আবাদি জমি দখল করে নেয়। পরে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে আটঘরিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
রাশিদার ছেলে মিনারুল ইসলামের অভিযোগ, বিষয়টি থানায় জানানোর পরও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা না নেয়ায় ট্রিপল নাইনে ফোন দিলে আটঘরিয়া থানার এসআই আবুল কালাম ঘটনাস্থলে গিয়েও জমি দখলকারী রমিজ উদ্দিনের পক্ষে অবস্থান নেন।
এদিকে অভিযুক্ত রোজিনার দাবি, বাবার সন্তান হবার পরেও পিতার সম্পত্তির ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত
হয়ে বাধ্য হয়েই আমরা এ কাজ করেছি।
এ ব্যাপারে চাঁদভা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল ইসলাম বলেন, একজন নারীকে শিকল দিয়ে বেঁধে জমি দখল করে নেয়া হয়েছে, এমন একটি ভিডিও ফেসবুকের সূত্রে নজরে এসেছে। তিনি বলেন, আমার কাছে একটি লিখিত অভিযোগও এসেছে; তদন্ত করে আইনত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তবে প্রকাশে বিধবা নারী নির্যাতনের ঘটনাটির তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সুশীল সমাজ।
/এসএইচ
Leave a reply