কক্সবাজারে হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় নারীর মরদেহ উদ্ধার

|

কক্সবাজার প্রতিনিধি:

কক্সবাজারের পেকুয়ায় হাত-পায়ের রগ কাটা অবস্থায় এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে পেকুয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের মেহেরনামা নুইন্যামুইন্যা ব্রীজ সংলগ্ন ফসলি জমির বিল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের নাম মোহছেনা আক্তার (৩৭), তিনি কক্সবাজার পৌরসভার খাজা মঞ্জিল এলাকার ছাবের আহমদের কন্যা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পেকুয়া থানা পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে বোরো চাষের জন্য জমিতে কয়েকজন শ্রমিক কাজ করতে যান। এ সময় বিলের মাঝে একটি রক্তাক্ত নারীর মরদেহ দেখতে পান তারা। পরে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। স্থানীয়দের ধারণা, ওই নারীকে অন্য কোথাও খুন করে গভীর রাতে বিলে ফেলে রেখে চলে যায় ঘাতকরা। 

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ মোহাম্মদ আলী জানিয়েছেন, বিলের মাঝে চিৎ হয়ে পড়েছিল বোরকা ও নেকাব পরানো নারীর মরদেহ। দুই পা ও বাম হাতের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। বুকের মাঝখানে রক্তে ভিজে গেছে বোরকা। কাটা হাত থেকে রক্ত ঝরে পড়ছে মাটিতে। লাশের পাশে একটি ভ্যানিটি ব্যাগ। পায়ের জুতাগুলো ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে পাশে। লাশের বিশ হাত দুরে একটি ছুরি মাটিতে পুঁতে রাখছে। ব্যাগের ভেতর একটি মুঠোফোন, স্মার্টকার্ড ও অল্পকিছু টাকা। নৃশংসভাবে তাকে খুন করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

পেকুয়া থানার ওসি আরও জানান, সিআইডি ক্রাইম সিনের একটি টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত করছে। পিবিআই টিমও আসছে। নৃশংসভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বাহিরে কোথাও খুন করে গভীর রাতে হয়তো লাশ এখানে ফেলে রেখে চলে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

এদিকে, নিহতের ছেলে আরিফের দাবি, টাকা দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে তার মাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে তার সৎবাবা রিদুয়ান। আরিফ জানান, সোমবার দুপুরে রিদুয়ান আমার মাকে ফোন করে টাকার জন্য যেতে বলে। দুপুর ২ টার দিকে মা টাকার জন্য কোনাখালীর উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর বৃহস্পতিবার পুলিশের ফোনে জানতে পারি আমার মায়ের মৃতদেহ পেকুয়া সদরের নুইন্যামুইন্যা ব্রিজ সংলগ্ন বিল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আরিফ আরও জানান, তার পিতা মালয়েশিয়ায় থাকা অবস্থায় গত বছর মারা যান। সেখানে পিতার সাথে পরিচয় ছিল চকরিয়া উপজেলা কোনাখালীর রিদুয়ানের। এরপর রিদুয়ান বাংলাদেশে আসলে তাদের পরিবারের সাথে সম্পর্ক গড়ে উঠে। সাত আট মাস আগে রিদুয়ানের সাথে বিয়ে হয় তার মায়ের।


/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply