ধর্ষণ মামলায় আদালতে হাজির মামুনুল হক, আরও তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ

|

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট, নারায়ণগঞ্জ:

হেফাজতে ইসলামের সাবেক যুগ্ম-মহাসচিব মামুনুল হকের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জে দায়ের করা ধর্ষণ মামলায় তৃতীয় দফায় আরও তিনজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে আদালত।

মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) দুপুরে জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। সাক্ষ্য প্রদান করেছেন- সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টের নিরাপত্তা প্রহরী ইসমাইল হোসেন, রিসোর্টের নির্বাহী কর্মকর্তা মাহাবুবুর রহমান ও সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নু। এ নিয়ে এই মামলায় বাদীসহ মোট সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট রাকিব উদ্দিন জানান, সকালে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগার থেকে আসামি মামুনুল হককে নারায়ণগঞ্জের আদালতে আনা হয়। দুপুর বারোটায় তাকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে হাজির করার পর তার উপস্থিতিতেই ধর্ষণের ঘটনাস্থল সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টের দুই নিরাপত্তারক্ষী ও একজন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষ্য দেন। এই তিন সাক্ষী আদালতকে জানান, গত বছরের ৩ এপ্রিল মামুনুল হক জান্নাত আরা ঝর্ণা নামের এক নারীকে রয়েল রিসোর্টের একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে ওই নারীসহ মামুনুল হক স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়লে তিনি ওই নারীকে দ্বিতীয় স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দিলেও তা মিথ্যা প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় জান্নাত আরা ঝর্ণা মামুনুল হকের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রিসোর্টে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ এনে ৩০ এপ্রিল সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।

এই ধর্ষণ মামলায় গত ৩ নভেম্বর বিচারকাজ শুরুর পর থেকে আদালত এ পর্যন্ত তিন দফায় মোট সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে। প্রথম দফায় ২৪ নভেম্বর মামলার বাদী জান্নাত আরা ঝর্ণার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। পরে ১৩ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় মামুনুলের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেন সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টের সুপারভাইজার আব্দুল আজিজ, রিসিপশন অফিসার নাজমুল ইসলাম অনিক ও আনসার গার্ড রতন বড়াল। আদালতে আসামি মামুনুল হকের উপস্থিতিতেই প্রতি তারিখে এই সাতজনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

তবে আসামি পক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক নয়ন বলেন, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম নান্নুসহ রিসোর্টের দুই কর্মচারী আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেছেন। তিনজন সাক্ষীকে জেরা করার সময় তারা অনেক প্রশ্নের সদুত্তর দিতে পারেননি। এটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা বলে তিনি দাবি করেন।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply