সমঝোতার পথে না হাঁটলে, চরম মূল্য দিতে হবে মস্কোকে। বুধবার (১৬ জানুয়ারি) ন্যাটো জোটে ইউক্রেনের অর্ন্তভূক্তি বিষয়ক দাবি প্রত্যাখ্যান করে উল্টো এই হুঁশিয়ারি দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্তে অনেকটাই সম্পন্ন হয়েছে রণপ্রস্তুতি। তার মাঝেই, কূটনীতির মাধ্যমে সংকট সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। যুদ্ধ পরিস্থিতি এড়াতে পুতিন প্রশাসনকে নমনীয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে সামরিক জোট ন্যাটো। তবে মুখে সামরিক মহড়ার কথা বললেও রণপ্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। দক্ষিণাঞ্চলীয় সীমান্ত এলাকা রোস্তাভে আরও ৬ হাজার সেনা মোতায়েন করেছে দেশটি। পাঠানো হয়েছে অত্যাধুনিক সামরিক সরঞ্জামও।
পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত ইউক্রেনও। শক্তিশালী প্রতিবেশীর আগ্রাসন মোকাবেলায় তারাও বসিয়েছে ভারি ট্যাংক ও কামান। শুধু তাই নয়, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে টিকে থাকতে বিশেষ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন সাধারণ বাসিন্দারাও।
দু’দেশের মারপ্যাঁচে কিছুটা কৌশলী অবস্থান নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ন্যাটো জোটে ইউক্রেনকে না নেয়ার যে আহ্বান জানিয়েছিল রাশিয়া, তা নাকচ করেছে বাইডেন প্রশাসন। একই সাথে হুঁশিয়ারি দিয়েছে, কূটনীতির পথে না চললে পুতিন সরকারকে দিতে হবে চড়া মূল্য। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, কূটনীতিতেই সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি রুশ আগ্রাসনের মোক্ষম জবাব নিয়েও কাজ করছে মিত্ররা। আঞ্চলিক শান্তি রক্ষায় কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাবো সেটা রাশিয়ার ওপর নির্ভর করছে। আমরা যে কোনো পথে হাঁটার জন্য প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: ফ্যাশন শোতে ঘোড়ায় চড়ে রাজকুমারীকে আনলো শ্যানেল
ন্যাটোর মহাসচিব বলেন, রাশিয়ার কারণেই ঘোলাটে হচ্ছে পরিস্থিতি। কূটনৈতিক পদক্ষেপের মাধ্যমে দ্রুত সমাধানে আহ্বান তার। জেনস স্টলটেনবার্গ বলেন, সীমান্তে রাশিয়ার সেনা উপস্থিতির কারণে প্রতিনিয়ত উত্তেজনা বাড়ছে। যুদ্ধ বিমান, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা এবং মহড়ার কারণে নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে পরিস্থিতি। তবে, এখনও কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সংকটের ইতি টানা সম্ভব। এ জন্য রাশিয়াকে অবশ্যই নমনীয় হতে হবে।
এদিকে, প্যারিসে দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা বৈঠকের পর অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। একে ইতিবাচক সংকেত হিসেবে বর্ণনা করছেন কূটনীতিকরা। কিয়েভ ও পশ্চিমাদের শঙ্কা, ইউক্রেনে সামরিক হস্তক্ষেপের পরিকল্পনা করছে মস্কো। তবে, বরাবরই এ অভিযোগ অস্বীকার করছে পুতিন প্রশাসন।
Leave a reply