শুধু কূটনীতি নয়, বাংলাদেশের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্কও বেড়েছে তুরস্কের

|

মাহফুজ মিশু:

কেবল কূটনৈতিক নয়, বাংলাদেশের সাথে রাজনৈতিক সম্পর্কও বাড়িয়েছে তুরস্ক। ঢাকায় দেশটির রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলছেন, এ বছরই ঢাকা সফর করবেন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। জানালেন, আস্থার সম্পর্ক ও শর্তহীন কেনাকাটার কারণে ঢাকা-আনকারা সামরিক যোগাযোগও বেড়েছে। মিসাইল, ড্রোন, হেলিকপ্টারসহ সর্বাধুনিক অস্ত্র ও সরঞ্জাম বিক্রির প্রকল্প চলমান।

যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসিকে কেন্দ্র করে তুরষ্কের সাথে টানাপোড়েনের শুরু হয়েছিল বাংলােদশের। সে সময় এই বিচার বন্ধের কথা বলেছিল প্রভাবশালী দেশটি। তবে ঢাকায় তুরস্কের রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান বলছেন, এসব অতীতের বিষয়। এ নিয়ে আমি আর কিছু বলতে চাই না, সামনের দিকে এগুতে চাই।

ঘটনার দুবছর পর তুরস্কে সামরিক অভ্যুত্থান চেষ্টা হলে প্রথম বিদেশি সরকার প্রধান হিসেবে এরদোগানের সমর্থনে চিঠি পাঠান শেখ হাসিনা। এক চিঠিতেই পাল্টে যায় সমীকরণ। পরে ঢাকা সফরে আসেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী। রোহিঙ্গা সংকট দেখতে আসেন এরদোগান পত্নীও। তুরস্কের প্রেসিডেন্টও এই সফরগুলো নিয়ে আশাবাদী। তিনি বললেন, এসব উচ্চ পর্যায়ের সফর প্রমাণ করে দেশদুটোর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক কতটা ভালো। জানালেন, সরকারের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর সাথেও যোগাযোগ অব্যাহত আছে তাদের।

মুজিব জন্মশতবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আসতে না পারলেও দ্রুতই তুর্কি প্রেসিডেন্টের সফর নিয়ে আশাবাদী রাষ্ট্রদূত মুস্তাফা ওসমান তুরান। বললেন, গত বছর উনি আমন্ত্রিত ছিলেন। সেটি নবায়ন হয়েছে। চেষ্টা চলছে। আশা করছি ২০২২ সালেই ঢাকা সফর করবেন প্রেসিডেন্ট এরদোগান।

বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ অস্ত্র উৎপাদনকারী দেশ তুরষ্ক। এক দশকে তাদের এ সক্ষমতা অনেক বেড়েছে দাবি করে রাষ্ট্রদূত বলছেন, কোনো শর্ত ছাড়াই মানসম্পন্ন সরঞ্জাম বিক্রি করে তার দেশ। সামরিকখাতে বাংলাদেশ বিশ্বস্ত বন্ধু, তাই বেশকিছু প্রকল্প নিয়ে আলোচনার কথা জানান তিনি। স্পষ্ট করেই বললেন, সামরিক কেনাকাটায় আমরা রাজনৈতিক শর্তারোপ করি না। অনেকগুলো প্রকল্প নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা চলছে। একক কোনো বাহিনী নয়, সবার সাথেই কথা হচ্ছে। তবে এর বিস্তারিত তার পক্ষে প্রকাশ করা সম্ভব নয় বলেও জানালেন।

সম্প্রতি র‍্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তুরষ্কের অবস্থান হচ্ছে, এটা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply