দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। চাপ সামলাতে এরই মধ্যে হাসপাতালের ৮৬ জন চিকিৎসকের শূন্য পদ পূরণের চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে মন্ত্রণালয়ে। সেই সাথে হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা বাড়ানো, অক্সিজেন জেনারেটর স্থাপন ও অক্সিজেন প্ল্যান্টের ধারণক্ষমতা দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাঠে কাজ করছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। তবে মাস্ক পরার বিষয়ে এখনও অসচেতন মানুষ।
ময়মনসিংহে গত এক সপ্তাহে মারা গেছেন ১৭ জন। এদের মধ্যে ৫ জনই কোভিড পজিটিভ ছিলেন, বাকি ১২ জনের ছিলো নানা করোনা উপসর্গ। ময়মনসিংহ মেডিকেলের তথ্য বলছে, গত ৭ দিনে মোট শনাক্ত ৯৪৩ জন। এমন পরিস্থিতিতে জোর প্রস্তুতি নেয়ার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
করোনা সংক্রমণ বাড়লেও মানুষের মাঝে সচেতনতার ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। হাট-বাজার ও পথে-ঘাটে ভিড় আছেই। বেশিরভাগ লোকের মুখে নেই মাস্ক। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বি বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাঠে নেমেছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। মোড়ে-মোড়ে চলছে তাদের সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন।
এদিকে ময়মনসিংহ মেডিকেলে বর্তমানে করোনা ইউনিটে ৩০ জন চিকিৎসক দায়িত্ব পালন করছেন। নতুন ভবনের সাত, আট তলার পাশাপাশি এখন ছয় তলাতেও করোনা রোগী রাখার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ছয় তলার শিশু বিভাগ সরানো হয়েছে পুরনো ভবনে। এছাড়া হাসপাতালের প্ল্যান্টে অক্সিজেন সংরক্ষণ ক্ষমতা ১০ হাজার লিটার থেকে বাড়িয়ে ২০ হাজার লিটার করা হচ্ছে বলে জানালেন মেডিকেল কলেজটির ফোকাল পার্সন ডা. মহিউদ্দিন খান মুন।
এর পাশাপাশি টেলি মেডিসিন সুবিধাও বাড়ানো হচ্ছে বলে আশ্বস্ত করেছেন সিটি করপোরেশন মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
বৃহত্তর ময়মনসিংহের রোগীদের প্রধান ভরসাস্থল ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শুধু চিকিৎসকদেরই ৮৬টি পদ শূন্য। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, ডাক্তাররাও আক্রান্ত হচ্ছেন তাই অন্তত শূন্য পদগুলোতে দ্রুত নিয়োগের তাগাদা দেয়া হয়েছে মন্ত্রণালয়ে।
/এডব্লিউ
Leave a reply