‘সৃষ্টিকর্তা আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন’

|

নেপালের কাঠমান্ডুতে ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান দুর্ঘটনায় আহত যাত্রী শেহরিন আহমেদ রোববার হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। তিনি বলেন, সৃষ্টিকর্তা আমাকে দ্বিতীয় জীবন দিয়েছেন। সুস্থ হয়ে আমি বাড়ি যাচ্ছি। এজন্য আমি খুবই আনন্দিত।

রোববার সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিট থেকে বাড়ি ফেরার সময় গণমাধ্যমকে তিনি এ কথা বলেন। শেহরিন বলেন, মৃত্যুকে খুবই কাছ থেকে দেখেছি। আমার চোখের সামনেই তিন যাত্রীকে সেকেন্ডের মধ্যে শেষ হয়ে যেতে দেখেছি।

বিমান দুর্ঘটনায় আহত হয়ে যারা বেঁচে আছি, তারা যাতে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারি, সে জন্য সবার কাছে দোয়া চান তিনি।

শেহরিন আহমেদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুরে। থাকেন রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস এলাকায়। উত্তরার স্কলাস্টিকা স্কুলে কর্মরত রয়েছেন তিনি।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন জানান, শেহরিন এখন সুস্থ। তার শরীরের দগ্ধ স্থানে লাগানো চামড়া শুকিয়ে গেছে। তবে দুই সপ্তাহ পর আবারও ফলোআপের জন্য তাকে হাসপাতালে আসতে হবে।

গত ১২ মার্চ নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্ত হয়ে ৫১ যাত্রী নিহত হন। এর মধ্যে ২৬ জন বাংলাদেশি। এ দুর্ঘটনায় আহত হন ১০ বাংলাদেশি। তাদের উদ্ধার করে প্রথমে নেপালের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। গত ১৫ মার্চ আহত ব্যক্তিদের মধ্যে প্রথম দেশে আনা হয় শেহরিন আহমেদকে।

যমুনা অনলাইন: টিএফ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply