অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যুব দলের ব্যাটার নওরোজ প্রান্তিক নাবিলের ক্রিকেটীয় ভাবনা মন জয় করেছে অনেকের। খুলনার এই ব্যাটারের ক্রিকেটার হওয়ার গল্প আর ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসা ছড়িয়েছে মুগ্ধতা। সাম্প্রতিক সময়ে নওরোজের ক্রিকেটীয় ভাবনা নিয়ে একটি ভিডিও নিজেদের অফিশিয়াল ফেসবুক পেইজে পোস্ট করেছে আইসিসি।
২০১১ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ ও ভারত। সে দিন জিততে পারেনি বাংলাদেশ। কিন্তু ভারতের কাছে পরাজয়ই বপন করে দিয়েছিল নওরোজ প্রান্তিকের স্বপ্নের বীজ। তিনি বলেন, সে দিন কীভাবে যেন আমার চোখ থেকে পানি পড়ছিল। আমি তখন আর কিছুই জানতাম না, আমি বুঝেছিলাম ক্রিকেট আমার গভীরে অবস্থান করে। যেই অনুভূতিটা আমি আমার মাঝে ধরে রাখি। সে দিন থেকে আমি জানতাম আমাকে কোথায় যেতে হবে।
ক্রিকেটটাকে পেশা হিসাবে বেছে নেয়া সহজ ছিল না ভালো ছাত্র প্রান্তিকের জন্য। কিন্তু প্রশ্ন যখন দেশের জন্য কিছু করার, তখন যেন দৃঢ়ভাবেই আঁকড়ে ধরেন তিনি সংকল্পকে। তিনি বলেন, অনেক ভাঙা-গড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয় ক্রিকেটটাকে ধরে রাখতে। কিন্তু আপনি যদি স্বপ্নের প্রতি দৃঢ় থাকেন যে, আপনি প্রমাণ করতে চান আপনার দেশও পারে, তখন বিষয়গুলো সহজ হয়ে যায়। আমি শুধু নিজের জন্য না, আমি দেশের ক্রিকেটের জন্য একটা আদর্শ তৈরি করতে চাই।
লক্ষ্য যদি সঠিক হয়, তবে সকলের প্রিয় হয়ে ওঠাটাও সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হেড কোচ নাভিদ নাওয়াজ বলেন, সে সবসময় ছোটখাটো জিনিস টুকে রাখে। এমনকি আমি যখন দলের সাথে থাকতে পারি না, সে আমাকে ভিডিও পাঠায়। যেন আমি তার ভুলগুলো ধরিয়ে দেই।
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের অধিনায়ক রাকিবুল হাসান বলেন, সে শুধু ভালো খেলোয়াড়ই নয়, একজন ভালো বন্ধুও। সে সবসময় যে কোনো পরিস্থিতিতে দলের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে।
নওরোজ প্রান্তিক নাবিল বলেন, আমার ভূমিকা দলে খুবই স্পষ্ট। আমি নিজের পারফর্মেন্সের কথা না ভেবে দলকে একটা ভালো ইনিংস দিয়ে শক্ত ভিত গড়ে দিতে চাই। আমি আমার ভূমিকা ভালোভাবে পালন করতে চাই। কারণ, দলের প্রত্যেকে যদি নিজের ভূমিকা ঠিকভাবে পালন করে তাহলেই আমরা ভালো ফলাফল পাব।
Leave a reply