পাবজি খেলতে বাধা দেয়ায় পরিবারের সবাইকে গুলি করে খুন করলো কিশোর

|

ছবি: সংগৃহীত

মোবাইল গেমে আসক্তির জেরে আত্মহত্যা, খুনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। তবে এবার ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটল পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশে। পাবজি খেলেতে বাধা দেয়ায় পরিবারের সবাইকে গুলি করে খুন করেছে পাকিস্তানের এক কিশোর।

মায়ের কাছে পাবজি খেলতে বাধা পেয়ে পুরো পরিবারকেই গুলি করে খুন করলো ১৪ বছরের ওই কিশোর। মা, ভাই, বড় বোন এবং ছোট বোনকে একে একে সবাইকে গুলি করে সে।

শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি)পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ‘ডন’ পঞ্জাব পুলিশের বিবৃতির বরাতে এমনটাই জানিয়েছে।

জানা গেছে, কয়েক দিন আগে ৪৫ বছরের স্বাস্থ্যকর্মী নহিদ মুবারক, তার ২২ বছরের ছেলে তৈমুর, ১৭ এবং ১১ বছরের দুই কন্যার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। বাড়ির মধ্যেই চারটি রক্তাক্ত দেহ পড়েছিল। তবে একই বাড়িতে থাকা ছোটছেলে অক্ষত ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য।

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে ওই কিশোর প্রথমে জানায়, সে ওপর তলার ঘরে ঘুমিয়ে ছিল। সকালে উঠে দেখে বাড়ির সবাই মৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।

কিন্তু ওই কিশোরের কথাবার্তায় অসঙ্গতি পায় পুলিশ। আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতেই সে স্বীকার করে, মা, ভাই, বোনদের সে গুলি করেছে।

ওই কিশোর জানায়, সে পাবজি খেলতো বলে মা তাকে বকাবকি করতেন। ঘটনার দিনও ভীষণ বকেছিলেন। তাই রাগের ্মাথায় প্রথমে মা, তার পর পরিবারের বাকি সদস্যদের গুলি করে খুন করেছে সে।

পরের দিন সকালে নিজেই প্রতিবেশীদের জানায় পরিবারের সবার মৃত্যুর কথা। প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। যদিও পরে নিজের অপরাধের কথা স্বীকার করে কান্নায় ভেঙে পড়ে নাবালক।

পাকিস্তান পুলিশের বরাত দিয়ে ‘ডন’ আরও জানায়, পেশায় স্বাস্থ্যকর্মী কিশরের মা নাহিদ বিবাহবিচ্ছিন্না। তিনি ছেলেমেয়েদের নিয়েই থাকতেন। পরিবারের নিরাপত্তার জন্য একটি লাইসেন্স করা রিভলবার রেখেছিলেন। সেই রিভলবারের গুলিতেই ছেলের হাতে খুন হলেন তিনি ও তার বাকি তিন সন্তান।


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply