যেমন হয় কনডেম সেল

|

ছবি: সংগৃহীত

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে কারাগারের অন্যান্য কয়েদীদের থেকে আলাদা এক কক্ষে রাখা হয়। এই কক্ষটিকে কনডেম সেল বলা হয়। কনডেম সেলের আসামিদেরকে রাখা হয় অনেক সতর্কতার ভিতরে। কনডেম সেলের একজন বন্দির ওপর কারাগারে সার্বক্ষণিক পাহারায় রাখা, দর্শনার্থীদের সাথে দেখা করার বিষয়ে সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়।

একজন বন্দির থাকার জন্য ন্যুনতম ৩৬ বর্গফুট (৬ফিট বাই ৬ ফিট) জায়গা বরাদ্দ থাকে। এই কনডেম সেলে একজন বন্দি কোনোরকমে থাকতে পারেন। এই ছোট্ট কক্ষটা হয়ে যায় বন্দির পরবর্তী দুনিয়া। এই কক্ষের ভিতরেই খাওয়া ও টয়লেটের কাজ করতে হয় একজন বন্দিকে।

কনডেম সেলের ভেতরে আলো-বাতাস চলাচলের জন্য সাধারণত অন্যান্য সেলের তুলনায় অনেক ছোট আকারের জানালা থাকে। আর এসব সেলে থাকা বন্দিদের দিনে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেলের বাইরে চলাচলের অনুমতি দেয়া হয়ে থাকে। তবে সেই সময়টাও খুবই সীমিত। এই সেলের বাসিন্দারা বিশেষ অনুমতি সাপেক্ষে মাসে একবার আত্মীয় স্বজনের সাথে দেখা করার সুযোগ পেয়ে থাকেন।

কোনো আসামির অপরাধ যদি পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে খারিজ হয় তাহলে সে কেবলমাত্র তখনই এই কনডেম সেলের বাইরে আসতে পারবে। আর যদি উচ্চ আদালতে ফাঁসির রায় বহালই থাকে তাহলে আসামি বা বন্দিকে এই কনডেম সেল থেকে সরাসরি ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়া হয়।

/এনএএস


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply