র্যাবের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পর, বৈশ্বিক চাপ সামলাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘ অণুবিভাগের অধীনে ‘মানবাধিকার সেল’ চালু করতে যাচ্ছে সরকার। দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং তুলে ধরার জন্য এই উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন।
সরকারের এই শীর্ষ কূটনীতিক আরও জানিয়েছেন, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে দ্রুততম সময়ে বৈঠকেরও চেষ্টা করছে ঢাকা। নিজেদের অর্জন তুলে ধরতে প্রয়োজনে লবিষ্ট নিয়োগের কথাও জানান তিনি।
র্যাব এবং বাহিনীটির সাবেক ও বর্তমান সাত কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞার পর জানুয়ারিতে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে একই দাবিতে চিঠি পাঠিয়েছেন ইইউ’র এক সংসদ সদস্য। এছাড়াও শান্তিরক্ষী মিশনে র্যাব সদস্যদের না নিতে জাতিসংঘে চিঠি দিয়েছে ১২ মানবাধিকার সংস্থা।
রাজনৈতিক বিবৃতি যাই হোক, এসব সংকট সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পররাষ্ট্র সচিব জানালেন, বিভিন্ন পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছে সরকার।
মানবাধিকার লংঘনের ঘটনা ঘটলেও সেগুলোর তদন্ত এবং দোষীদের বিচার হয় দাবি করে মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, এসব তথ্য জানে না অনেকেই। মানবাধিকার নিয়ে আন্তর্জাতিক সব ফোরামেই বাংলাদেশ সক্রিয়, এমনটাও দাবি করেছেন তিনি। আরও বলেন, মানবাধিকার রক্ষা সরকারের অন্যতম অগ্রাধিকার।
Leave a reply