আদম ব্যবসায়ীদের খপ্পর থেকে বাঁচার উপায় কী?

|

চোরাই পথে ইতালি যাওয়ার পথে তীব্র শীতে মৃত্যু হয় ৭ বাংলাদেশির। এর মধ্যে ৫ জনই মাদারীপুরের। একদিকে যেমন স্বজন হারিয়েছে পরিবারগুলো পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ অর্থও চলে গেছে দালালের হাতে। এ নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তরা বলছেন, আদম ব্যবসায়ীদের হাত থেকে বাঁচতে সচেতনতার বিকল্প নেই।

সুখের স্বপ্নে অবৈধ পথে পাড়ি দিয়েছিলেন ইউরোপ। ২৪ জানুয়ারি লিবিয়া থেকে লাম্পেদুসা যাওয়ার পথে তীব্র শীতে মারা যায় ৭ জন।

মাদারীপুরের সদর উপজেলার ভ্যানচালক শাজাহান ছেলে ইমরানকে ইতালি পাঠাতে সুদে পাওয়া সাড়ে সাত লাখ টাকা তুলে দেন দালালের হাতে। পশ্চিম পেয়ারপুর ইউনিয়নের জয় তালুকদারের বাবাও দিয়েছিল একই অঙ্কের অর্থ। ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের মৃত্যুর তথ্য জানালেও দালালরা পরিবারগুলোকে এখনও সন্তানদের বেঁচে থাকার আশ্বাস দিয়ে চলেছে।

প্রতি বছরই জেলাটি থেকে চোরাই পথে ইউরোপ যাওয়ার পথে অভিবাসীদের মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। মানবপাচার রোধে নানা ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে জানালেন মাদারীপুর জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা। তবে স্থানীয়দের সচেতনতাই কেবল তাদেরকে বাঁচাতে পারবে বলে মনে করেন তিনি। একই মত পেয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লাভলুরও।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশের মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন ২০১২ অনুযায়ী মানবপাচারের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply