ভালোবেসে দু’জনে বেঁধেছিলেন সুখের সংসার। সেখানে ঘর আলো করে আসে দুই সন্তান। কিন্তু এই সন্তান জন্ম দেয়ার পরেই ঘটে বিপত্তি। নতুন প্রেমের সন্ধান পেয়ে স্বামীর সংসার রেখে ঘর ছেড়েছেন সালমা। স্ত্রীকে না পেয়ে গত তিন মাস ধরে থানায় ঘুরছে যুবক। একটাই আশা, হয়তো খোঁজ মিলবে স্ত্রীর। আবারও সেজে উঠবে সংসার। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলিতে।
সংবাদ প্রতিদিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, হুগলির চুঁচুড়া চকবাজার ২ নং সোনাটুলি লেনের বাসিন্দা বছর বাইশের শেখ সালাউদ্দিন। প্রতিবেশী ১৫ বছরের সালমার প্রেমে পড়েছিলেন যুবক। টানা তিন বছর প্রেমের পর আইন মেনে বিয়ে করেন। বছর ঘুরতে না ঘুরতেই প্রথম সন্তানের জন্ম হয়। বছর ছয়েক পর দ্বিতীয়বার বাবা-মা হন সালাউদ্দিন-সালমা। এক পর্যায়ে স্ত্রী-সন্তানদের টানে বাইরের কাজ ছেড়ে চুঁচুড়ায় বসবাস শুরু করেন যুবক। সুখের সংসার ছিল তাদের।
করোনাকালে লকডাউন ফের ডেকে আনে বিপর্যয়। সালাউদ্দিন কাজ হারান। সংসারে আর্থিক সংকট চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। কখনো দিনমজুরের, কখনো রাজমিস্ত্রির কাজ করে সংসার চালাতে থাকেন সালাউদ্দিন। এসবের মাঝে মাস তিনেক আগে ছোট ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি যাওয়ার নাম করে নিখোঁজ হয়ে যায় সালমা।
কোথাও খোঁজ নেই তার। হঠাৎ স্বামীর সাথে যোগাযোগ করে স্ত্রী জানান, সে কাজে বাইরে গেছে। দুই বছর পর বাড়ি ফিরবে। এরপর আর যোগাযোগ করেননি। উপায় না পেয়ে শ্বশুর বাড়িতে ছুটে যান সালাউদ্দিন। জানতে পারেন, প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে স্ত্রী সালমা। এরপর তিনি চুঁচুড়া থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
সালমার সাথে আইন মেনে বিয়ে হয়েছিল তার। কোনোদিন যে সালমা এমন ঘটনা ঘটাবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেননি তিনি। তিনি আরও বলেন, করোনাকালে লকডাউনের সময় যখন সংসারে আর্থিক অনটন চলছে তখন স্ত্রীর হাতে একদিন একটি মোবাইল ফোন দেখে হঠাৎই সন্দেহ হয়েছিল তার। তখন স্ত্রী জানিয়েছিল মোবাইল ফোনটি কুড়িয়ে পেয়েছে। তবু মনে সন্দেহ দানা বেঁধেছিল। কিন্তু বুঝতে পারেননি ওই ফোনের দৌলতেই পরকীয়ায় জড়িয়েছে স্ত্রী।
/এনএএস
Leave a reply