কক্সবাজার থেকে ৮২ কিলোমিটার দূরে মেরিন ড্রাইভের শেষ প্রান্তে সাবরাং। সমুদ্রজলের নীল রং ধরা দেয় টেকনাফের এ অঞ্চলে। দৃষ্টির সীমান্তে থাকে সাম্পানের উথাল নাচন। এইখানে চোখ জুড়ানো প্রকৃতির মায়ায় ছুটে আসেন অনেক পর্যটক। কোলাহলমুক্ত বালু বিচে আছড়ে পড়া ঢেউয়ের তুখোড় উত্তেজনা উপেক্ষা করা তাদের জন্য কঠিন।
কিন্তু বিশেষায়িত সৈকতভিত্তিক সাবরাং পার্কের তেমন উন্নয়ন হয়নি এক দশকেও। এরমধ্যেই মূল প্রকল্পের আশপাশে শুরু হয়ে গেছে জমি দখল। পরিকল্পনা অনুযায়ী তৈরি হবে প্রাকৃতিক ও কৃত্তিম বিনোদনের আকর্ষণীয় অঞ্চল। থাকবে এক হাজার একরের বিশেষায়িত জোন। দৃশ্যমান সাবরাং পার্ক খুব শিগগিরই দেখা যাবে বলে জানিয়েছেন বেজার চেয়ারম্যান।
তবে পর্যটন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থায়ী পর্যটনের প্রধান শর্ত পরিকল্পিত ও স্থানীয় জীবনধারার সংমিশ্রণ। অভিজ্ঞরা বলছেন, পর্যটন মানে স্থানীয় জনজীবন বিচ্ছিন্ন কিছু নয়। বরং টেকসই পর্যটন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে স্থানীয় ঐতিহ্য ও জীবন সংশ্লিষ্ট উন্নয়ন দরকার।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি অবসর যাপনে বৈচিত্রতা আনতে এই পার্কে থাকবে কৃত্তিম লেক, ঝাউবন রিসোর্টসহ নানা অনুষঙ্গ।
পার্কের ভবন প্রকল্প কার্যালয় উদ্বোধন হয়েছে আগেই। এছাড়া সড়ক নির্মাণের কাজ চলছে, তাও ঢিমেতালে। প্রকল্পে ধীরগতি হলেও সীমানা ঘিরে হোটেল মোটেলের জমি দখলের গতি ঢের বেশি। নামে বেনামে গড়ে উঠছে অপরিকল্পিত স্থাপনা।
এক হাজার ৪৭ একর জমিতে নির্মানাধীন সাবরাং পার্কে প্রতিদিন অন্তত ৩৯ হাজার পর্যটক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে পারবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
Leave a reply