প্রকল্পের বিদেশি ঋণে এখনও মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কোনো প্রভাব নেই, তবে সতর্ক আছে সরকার। পরিকল্পনা বিভাগ বলছে, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের মতো সহযোগীদের ঋণে সব পক্ষেরই স্বার্থ আছে। তাই অর্থনীতির সম্ভাবনা বিবেচনায় সহযোগিতা আরও বাড়ানো উচিত। তবে ভবিষ্যতে র্যাব বা পুলিশের উন্নয়ন প্রকল্পে বিদেশি ঋণ মিলবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান বিশ্লেষকরা।
রাজনীতি আর কূটনীতির গন্ডি পেরিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাতাস এখন অর্থনীতিতে। এরইমধ্যে রফতানির এলসিতে যুক্ত হয়েছে নতুন ধারা। চিন্তার ভাঁজ গাঢ় হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। এর মাঝেই আলোচনা শুরু হয়েছে, বিশ্বব্যাংক, আইএমএফের ঋণে দেশে চলমান প্রকল্পের ভবিষ্যত কী? কেননা, এমন একাধিক সংস্থার বোর্ডে মার্কিন প্রভাব বরাবরই স্পষ্ট।
যদিও অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে বিদেশি অর্থছাড়ের পরিমাণ বেড়েছে। ঋণের আশ্বাস মিলেছে দ্বিগুণ। প্রায় ৪১৭ কোটি ডলার বুঝে পেয়েছে সরকার। যেখানে সর্বোচ্চ ১৭২ কোটি ডলার ছাড় করে এডিবি। পরের অবস্থানে জাইকা। একক দেশ হিসেবে সর্বোচ্চ ৪৩ কোটি ডলার ছাড় করেছে চীন। তবে বিশ্বব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান আইডিএ ঋণছাড়ে সবসময় এক নম্বর থাকলেও এবার নেমেছে চারে।
আরও পড়ুন: বিক্রি হচ্ছে আঙ্গুলের ছাপ
নিজের অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করে সক্ষমতার জানান ভালোভাবেই দিয়েছে বাংলাদেশ। তবে শিক্ষা, স্বাস্থ্য কিংবা সামাজিক সুরক্ষা খাতে উন্নয়ন এখনো ঋণ নির্ভর। বিশ্লেষকরা বলছেন, সেই অর্থে টান পড়ার আশঙ্কা ক্ষীণ। কেননা চাইলেই দ্বি-পাক্ষিক পলিসি ফ্রেমওয়ার্কের বাইরে যেতে পারে না বিদেশি সহযোগীরা।
গত জুলাই-ডিসেম্বর মেয়াদে বিদেশি ঋণের আসল ও সুদ বাবদ ১০০ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ, যা আগের বছরের তুলনায় বেশি।
এসজেড/
Leave a reply