মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় কম সাজা হওয়া আসামিদের শাস্তি বাড়ানোর আপিল করা হবে বলে জানিয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কর্মকর্তাদের সংগঠন, রাওয়ার সাধারণ সম্পাদক অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল ইসলাম।
চাঞ্চল্যকর সিনহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণার পর শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার পরিবারের সাথে দেখা করতে যায় রাওয়ার একটি প্রতিনিধি দল। দেখা করেন মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌসসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে।
সাক্ষাতে তারা রায় পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নিয়ে পরামর্শ করেন। এসময় সিনহা হত্যা মামলার রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানান তার পরিবারের সদস্যরা।
প্রসঙ্গত, সিনহা হত্যাকাণ্ডে ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলীর মৃত্যুদণ্ড ঘোষণা করেছেন আদালত। ৩১ জানুয়ারি কক্সবাজারের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় বরখাস্তকৃত এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাগর দেব ও রুবেল শর্মাসহ ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। যাবজ্জীবন সাজা পাওয়া অন্যরা হলেন নুরুল আমিন, মো. নিজাম উদ্দিন ও আয়াজ উদ্দিন। এ ৩ জনই টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী ছিলেন। তারা টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুরের মারিশবুনিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
সেই সাথে এপিবিএন এর এসআই মো. শাহজাহান, কনস্টেবল রাজিব ও মো. আবদুল্লাহ এবং পুলিশের এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আব্দুল্লাহ আল মামুনকে খালাস দেয়া হয়েছে। এই সাতজনকেও সিনহা হত্যার ঘটনার পর বাহিনী থেকে বরাখাস্ত করা হয়েছিল।
/এডব্লিউ
Leave a reply