স্থায়ী জলাবদ্ধতায় দুভোর্গ ভবদহে, নিশ্চিত লোকসান জেনেই চললে আবাদ

|

বেশিরভাগ আবাদি জমিই এখন জলাবদ্ধ।

নিশ্চিত লোকসান জেনেও বিলে জমে থাকা পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদের চেষ্টা চলছে যশোরের ভবদহের জলাবদ্ধ এলাকায়। জেলার তিন উপজেলা মনিরামপুর, অভয়নগর ও কেশবপুরের বিভিন্ন বিলে স্যালোমেশিন দিয়ে বিঘা প্রতি ২ থেকে ৪ হাজার টাকা দিয়ে এ সেচ কাজ করছেন কৃষকরা।

এক দশক ধরে ভবদহ নিয়ে জল ঘোলা কম হয়নি। জাতীয় নির্বাচন থেকে স্থানীয় রাজনীতি সবখানে আলোচনায় এই মানবিক ইস্যু। তারপরও জলবন্দি অবস্থা থেকে মুক্তি মেলেনি ১০ লাখ মানুষের। নিরুপায় গ্রামবাসী শেষ পর্যন্ত জলাবদ্ধতায় খুঁজে নিয়েছে জীবন। পানি থাকলেও কৃষি জমিতে উদ্যোগ নিয়েছে বোরো আবাদের।

ধানে দাম নেই, তারওপর বীজ, সার, কীটনাশকের বাজার উর্ধ্বমুখী। জমে থাকায় বাড়তি পানি সেচ দিয়ে আবাদ করতে খরচ আরও বেড়ে যাওয়ায় নিশ্চিত লোকশান গুনতে হবে কৃষককে। কিন্তু নিজেদের খাবারের জন্য ধানের যোগান দিতে বাধ্য হয়ে এই জমিতেই চাষাবাদ শুরু করেছে কৃষক।

এভাবে সেচ দিয়ে কোনোমতে বোরো আবাদ করলেও আর কোনো ফসল ফলাতে পারছেন না তারা। এ দশা থেকে মুক্তি পেতে ভবদহ সমস্যার স্থায়ী সমাধানের দাবি তাদের।

কৃষি বিভাগ বলছে, ভবদহ এলাকার বিলগুলোয় সেচের মাধ্যমে কিছু আবাদ হলেও বেশিরভাগ জমিতে পানি থাকায় অনাবাদি থেকে যাচ্ছে। চাষ নির্ভর ওই এলাকার আর্থিক স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে যা সেচের আওতায় আনা জরুরি।

টাইডাল রিভার ম্যানেজমেন্ট বা টিআরএম বাস্তবায়ন না হওয়ায় প্রতি বর্ষা মৌসুমের শুরু থেকে পরবর্তী প্রায় ৭ মাস স্থায়ী জলাবদ্ধতায় রূপ নেয় ভবদহ এলাকা। এবছরও প্রায় ২২ হাজার হেক্টর জমিতে পানি জমে আছে। যারমধ্যে প্রায় ১২ হাজার হেক্টর আবাদি জমি।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply