মরক্কোয় ৫ বছর বয়সী শিশু রায়ান ওরাম জীবিত না ফিরলেও জয় হয়েছে মানবতার। রোববারের (৬ ফেব্রুয়ারি) প্রার্থনায় এই মন্তব্য করেছেন পোপ ফ্রান্সিস। সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) শিশুটির দাফনকার্য সম্পাদন করবে পরিবার। এ কাজে সহযোগিতা করছে দেশটির রাজপরিবার। তবে এতদিনের প্রতীক্ষা-প্রচেষ্টার পরও কুয়া থেকে জীবিত উদ্ধার করতে না পারায় শোকে স্তব্ধ মরক্কো।
খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ ফ্রান্সিস বলেন, মরক্কোয় শিশু রায়ানকে জীবিত ফিরে পাওয়ার জন্য সর্বস্তরের মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা ছিল সেটি মানবতার বড় উদাহরণ। গোটা দেশ শিশুটিকে উদ্ধারের প্রার্থনা করেছিল। দুভার্গ্য সে জীবিত ফেরেনি। কিন্তু মানবতার জয় হয়েছে।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা নাগাদ গভীর কূয়া থেকে বের করে আনা হয় শিশু রায়ানকে। কিন্তু গোটা মরক্কোকে হৃদয়বিদারক তথ্য শোনান চিকিৎসক। এতো চেষ্টার পরও বেঁচে নেই ৫ বছরের রায়ান ওরাম। মুহূর্তেই চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে শোকের ছায়া। হাহাকারে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। পরিবার থেকে এলাকাবাসী এমনকি উদ্ধারকাজে নিয়োজিতরাও ভেঙ্গে পড়েন কান্নায়।
অবশ্য স্রষ্টার ইচ্ছার ওপরই সবকিছু ছেড়ে দিয়েছিলেন বাবা-মা। তাই ছেলেকে জীবিত না পাওয়া গেলেও কৃতজ্ঞতা জানাতে ছিল না তাদের কাপর্ণ্য।
আরও পড়ুন: সকল চেষ্টার পরেও বাঁচানো গেলো না কুয়ায় পড়ে যাওয়া শিশু রায়ানকে
রায়ানের বাবা খালিদ ওরাম বলেন, বাদশাহকে ধন্যবাদ দেয়ার ভাষা নেই। আল্লাহ তাকে নেক হায়াৎ দান করুন। প্রতিবেশী, এলাকাবাসী, কর্তৃপক্ষ, রাজকীয় এবং জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা। আমার সন্তানকে জীবিত উদ্ধারে তারা অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। কিন্তু আল্লাহ জীবনদানকারী। তার ইশারা ছাড়া কিছুই সম্ভব না।
এ ঘটনাকে মানবতার জয় হিসেবেই আখ্যা দিচ্ছেন ধর্মগুরুরা। বলছেন, ছোট্ট একটি শিশুর জন্য গোটা দেশের প্রার্থনা নজিরবিহীন।
মরক্কোর শেফশাওয়েন শহরের পাবর্ত্য এলাকার বাসিন্দা ছিল রায়ান ওরাম। গত মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) খেলতে খেলতেই ১০৪ ফুট গভীর কুয়ায় পড়ে যায়, শিশুটি। স্থানীয়দের পাশাপাশি অভিযানে নামে উদ্ধারকর্মীরা। টানা চারদিন ধরে শ্বাসরুদ্ধকর প্রচেষ্টার পরও বাঁচানো যায়নি তাকে।
এসজেড/
Leave a reply