বিপিএলে দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে তলানিতে থাকা দল সিলেট সানরাইজার্সের বিপক্ষে ১৫ রানের জয় পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। এই জয়ে মিনিস্টার ঢাকাকে পেছনে ফেলে পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এল খুলনা।
প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে ১৮২ রানের বিশাল সংগ্রহ তোলে মুশফিক-সৌম্যের খুলনা। জবাব দিতে নেমে পুরো ২০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান করতে সক্ষম হয় সিলেট।
১৮২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা ধীর হলেও ভালোই করেছিল সিলেট। উদ্বোধনী জুটিতে ৪১ রান তোলেন লেন্ডল সিমন্স ও এনামুল হক বিজয়। ১৭ বলে ১০ রান করে সিমন্স ফিরলে ভাঙে এ জুটি। দলীয় ৭০ রানে ৩৩ বলে ৪৭ রান করে আউট হন বিজয়ও। এর পরপরই ফিরে যান মোহাম্মদ মিথুন, রবি বোপারারা। এরপর কলিন ইনগ্রাম ও মোসাদ্দেক হোসেন ৩০ বলে ঝড়ো ৫৮ রানের জুটি গড়ে ম্যাচ জমিয়ে তুলেন। ইনগ্রাম ফিরলেও আলাউদ্দিন বাবু নেমে শেষ ওভারে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। শেষ ওভারে দরকার ছিল ৩৬ রান। প্রথম ৩ বলেই ছক্কা হাকিয়ে দারুণ কিছুরই ইঙ্গিত দিচ্ছিলেন তিনি। তবে, সেটি আর হয়ে উঠেনি। ওই ওভারে আসে ২০ রান। সিলেট হারে ১৫ রানে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে খুলনা। দলীয় ১ রানেই ফিরে যান ক্যারিবীয় তারকা আন্দ্রে ফ্লেচার। ওয়ান ডাউনে নামা মেহেদী হাসান রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরের পথ ধরেন। ফলে ১ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে দলটি। এরপর ইয়াসির আলীকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় সামাল দেন ওপেনিংয়ে নামা সৌম্য সরকার। দুজনে মিলে গড়েন ৪৫ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ২৩ রানে ইয়াসির আউট হলে উইকেটে আসেন অধিনায়ক মুশফিক। এই দুজনের ১৩৬ রানের বিশাল জুটিতে ১৮৫ রানের সংগ্রহ পায় খুলনা। সৌম্য ৬২ বলে ৮২ রান করে অপরাজিত থাকেন। আর মুশফিক ৩৮ বলে ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
সিলেটের পক্ষে সোহাগ গাজী ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। এ কে এস স্বাধীন ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নেন একটি উইকেট।
বিপিএলের অষ্টম আসরে এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শেষ চার প্রায় নিশ্চিত বরিশালের। ৭ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে কুমিল্লা। সমানসংখ্যক ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে খুলনা। একই পরিমাণ ম্যাচ খেলে চারে মিনিস্টার ঢাকা। আর সাত ম্যাচে মাত্র একটি জয় নিয়ে টেবিলের তলানিতে সিলেট।
জেডআই/
Leave a reply