আগামী ৪ মে ফ্লোরিডার লঞ্চপ্যাড থেকে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণ করা হবে। বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রথম কৃত্রিম উপগ্রহ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট’ উৎক্ষেপণের জন্য ৪ মে দিন ঠিক করেছে ‘স্পেসএক্স’।
গত ১৬ ডিসেম্বর ফ্লোরিডার কেইপ কেনাভেরাল থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের প্রস্তুতি চলছিল। কিন্তু হারিকেন আরমায় ফ্লোরিডায় ব্যাপক ক্ষতি হওয়ায় ওই লঞ্চপ্যাড থেকে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ বন্ধ থাকে। ফলে উৎক্ষেপণ পিছিয়ে যায়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের গ্রাউন্ড স্টেশন স্থাপন করা হয়েছে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর ও রাঙামাটির বেতবুনিয়ায়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডারের মধ্যে ২০টি দেশের ব্যবহারের জন্য রেখে বাকিগুলো অন্যান্য দেশের কাছে বিক্রি করা হবে। অংশ নেপাল, ভুটান ও মিয়ানমারের মতো দেশকে ভাড়া দিয়ে বছরে ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করা যাবে।
এখন দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, টেলিফোন ও রেডিও বিদেশি স্যাটেলাইট ভাড়ায় ব্যবহার করে। এতে প্রতি বছর ভাড়া বাবদ বাংলাদেশকে ১১০ কোটি টাকা গুনতে হয়।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হলে দেশে এই বৈদেশিক মুদ্রারই সাশ্রয় হবে। সেই সঙ্গে ব্যাপকভাবে স্যাটেলাইটে মহাকাশ বা জ্যোতির্বিজ্ঞান গবেষণা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস, টিভি বা রেডিও চ্যানেল, ফোন, মোবাইল ও ইন্টারনেট যোগাযোগপ্রযুক্তি, নেভিগেশন বা জাহাজের ক্ষেত্রে দিকনির্দেশনায়, পরিদর্শন-পরিক্রমায় (সামরিক ক্ষেত্রে শত্রুর অবস্থান জানার জন্য) এটি দারুণ কাজে আসবে।
এছাড়া দূর সংবেদনশীল তথ্যে মাটি বা পানির নিচে অনুসন্ধান ও উদ্ধারকাজে, মহাশূন্য এক্সপ্লোরেশন, ছবি তোলার কাজে, হারিকেন-ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পূর্বাভাস, গ্লোবাল পজিশনিং বা জিপিএস, গামা রে বারস্ট ডিটেকশন করতে, পারমাণবিক বিস্ফোরণ এবং আসন্ন হামলা ছাড়াও স্থল সেনাবাহিনী এবং অন্যান্য ইন্টেলিজেন্স সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা পেতে, তেল, প্রাকৃতিক গ্যাস ও বিভিন্ন খনি শনাক্তকরণ, ডিজিটাল ম্যাপ তৈরি করাসহ অত্যাধুনিক অনেক কাজেই সুফল পাবে বাংলাদেশ।
Leave a reply