১৬ বছর ধরে মরদেহের গোসল করানোর দায়িত্ব পালন করছেন তুর্কি নারী এদা ইলাল। পেশাগত কর্তব্য হলেও আন্তরিকতা থেকেই এই কাজ করে চলেন তিনি। মহামারিতে এই চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ। স্বপরিবারে কোভিড আক্রান্তও হয়েছেন। আতঙ্ক আর হতাশায় মানসিকভাবে বিপর্যস্তও হয়েছেন। তবুও পিছপা হননি দায়িত্ব থেকে।
তুরস্কের সবচেয়ে বড় শহর ইস্তাম্বুলের বাসিন্দা ৩৬ বছর বয়সী এদা ইলাল। ইসলামের রীতি মেনে দাফনের জন্য প্রস্তুত করছেন মরদেহ। মৃত ব্যক্তির শেষ গোসলের দায়িত্বটি তার হাতে।
১ কোটি ৬০ লাখ বাসিন্দার ইস্তাম্বুলে মরদেহের গোসলের জন্য নিয়োজিত আছেন মোট ২৪৩ জন। এদের মধ্যে নারীর সংখ্যা খুব বেশি নয়। আগে যেখানে দু’জন মিলে দিনে গড়ে ৫টি মরদেহের গোসল করাতো, এখন সেখানে ৪০টি পর্যন্ত মৃতদেহ প্রস্তুত করতে হয় দাফনের জন্য। আতঙ্ক আর ক্লান্তি ভর করলেও দায়িত্ব থেকে কখনও সরে যাননি এদা।
এদা বলেন, ১৬ বছর ধরে এই কাজ করছি। একসাথে এত মৃত্যু আগে দেখিনি। একদিনে এত মরদেহ আগে কখনও গোসল করাতে হয়নি। খুব ক্লান্ত লাগে। কখনও কখনও মনে হয় আর পারছি না। তখনই যেন একটা আধ্যাত্মিক শক্তি কাজ করে ভেতরে। নিজেকেই বলি এই কাজের জন্য অনেক বড় পুরস্কার পাবো।
এদারই সহকর্মী ৪৫ বছর বয়সী সিয়াহেন। তিনি জানালেন, মহামারির শুরুতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে কীভাবে কাজটি চালানো যায় তা নিয়ে শুরু হয়েছিল বিতর্ক। তবে ধর্মীয় রীতি পালনে বদ্ধপরিকর ছিলেন তিনি ও তার সহকর্মীরা। আর্থিক কারণে নয়, ভিন্নধর্মী এই পেশাকে দায়িত্ববোধের দিক থেকেই বড় করে দেখেন এদা।
এসজেড/
Leave a reply