স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, টাঙ্গাইল:
‘এই মসজিদে ১০ বছরের কম বয়সী শিশুরা নামাজে আসলে তাদেরকে দেওয়া হবে চকলেট ও চুইংগাম। এছাড়াও যে শিশু একাধারে ৪০ দিন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করবে তাকে একটি স্কুলব্যাগও উপহার দেওয়া হবে।’ সাদা কাগজে এমন লেখা-ই টাঙানো হয়েছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার অলোয়া ইউনিয়নের আকালু গ্রামের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের দেয়ালে ও আশেপাশে। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগটি নিয়েছেন মসজিদের ইমাম শরিফুল ইসলাম রানা।
ইমাম শরিফুল ইসলাম জানান, বর্তমান সময়টা ইন্টারনেটের যুগ। অপরদিকে, করোনাকালীন সময়ে দীর্ঘ ১৮ মাস শিশুদের স্কুল বন্ধ ছিল। এখনও বন্ধের রেশ কাটেনি। এই দীর্ঘ সময়টা অলসভাবে পার করছে কোমলমতি শিশুরা। তারা দিন দিন আসক্ত হচ্ছে মোবাইল গেমসে। তাই মোবাইলে গেমস খেলার আসক্তি থেকে মুক্ত করতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ও কোরআন শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। ওই সব শিশুদের মসজিদমুখী করতেই নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ। এতে সহযোগিতা করেছেন মসজিদ কমিটির সভাপতি ও স্থানীয়রা।
তিনি আরও জানান, প্রায় এক বছর আগে লেখাটি লাগানো হয়েছে মসজিদের দেয়ালে। প্রথমদিকে শিশুরা না আসলেও উপহার দেওয়ার কথা শুনে ওরা খুব উৎসাহ নিয়ে মসজিদের দিকে ছুঁটে আসছে। মসজিদে আসার কারণে ওদের মোবাইল গেমসে আসক্তি নেই বললেই চলে। তারা এখন নিয়মিত মসজিদে আসছেন ও নামাজ পড়ছেন। সকলের সহযোগিতায় ওদের আরও কিছু উপহারসামগ্রী দেওয়া হলে অন্যান্য শিশুরাও নামাজের দিকে ঝুঁকবে।
আকালু জামে মসজিদের সভাপতি মো. জাকারিয়া মণ্ডল বলেন, করোনাকালীন সময় থেকে আমাদের এমন উদ্যোগে শিশুরা স্মার্টফোন গেমস ছেড়ে মসজিদমুখী হচ্ছে। আমি যতদিন বেঁচে আছি এ উদ্যোগ আমাদের চলমান থাকবে।
ভূঞাপুর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মওলানা মুফতি শহিদুল ইসলাম বলেন, এমন উদ্যোগের বিষয়টি আপনাদের মাধ্যমেই জানতে পারলাম। এটা সত্যিই প্রশংনীয় উদ্যোগ। আমি অচিরেই মসজিদে গিয়ে ওই শিশুদের সাথে নামাজ আদায় করব।
জেডআই/
Leave a reply