বিপিএল মানেই অনেকে বলেন বিতর্ক লিগ। সাথে সন্দেহ আর শঙ্কা মিলে প্রতিবার এই আসরে তৈরি হয় এক ভূতুড়ে পরিবেশ। এ রকম কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাই বিপিএলকে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবরে নিয়ে আসে। এবারের আসরও হতে পারেনি ব্যতিক্রম।
মেহেদি মিরাজকে সরিয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়কত্ব দেয়া হয়েছিল নাঈম ইসলামকে। আর এবার তরুণ আফিফ হোসেনকে অধিনায়ক করে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স তাদের সমস্যা করেছে দীর্ঘায়িত। সেই সাথে আগের ম্যাচের অধিনায়ককে রাখা হয়নি একাদশেই। ম্যাচের আগে অধিনায়ক বদলে করেছে সিলেট সানরাইজার্সও। সেই সাথে রবি বোপারার বল টেম্পারিং আর নাজমুল অপুকে বল করতে না দেয়া, সবকিছুই দলটাকে ঘিরে উস্কে দিচ্ছে নানা প্রশ্ন আর শঙ্কার। এখনও কোনোকিছুই প্রমাণিত না হলেও সন্দেহ তৈরি হয়েছে, ফিক্সিংয়ের অন্ধকার আবারও ফিরছে না তো!
আগের ম্যাচের একাদশে না থাকা রবি বোপারাকে সিলেট সানরাইজার্স অধিনায়ক করেছে মোসাদ্দেক সৈকতকে সরিয়ে। যথারীতি এই ঘটনা ঘটেছে ম্যাচের আগে। শোনা গিয়েছে, এনামুল বিজয় নিতে চাননি দায়িত্ব। আবার শেষ দুই ম্যাচ খেলতে চাইলেও তাসকিনকে পুরো বিপিএল থেকেই ছিটকে দিয়েছে সিলেটের মালিক পক্ষ!
আরও পড়ুন: আইসিসির মাস সেরা তালিকায় এবাদত হোসেন
উদ্ভট ঘটনার এখানেই শেষ নয়। খুলনার বিপক্ষে সিলেটের সেই ম্যাচে রহস্যজনক আরও অনেক কিছুই ঘটেছে। বিদেশি হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলা রবি বোপারা যেভাবে বল টেম্পারিং করেছেন তাতে সন্দেহ হবে যে কারো। ৫ রান শুধু জরিমানা নয়, বোপারাকে তিন ম্যাচ নিষিদ্ধের সুপারিশ করেছে ম্যাচ রেফারি। বিস্ময়কর ঘটনার আরও বাকি। বোলার হিসেবে একাদশে জায়গা পাওয়া নাজমুল অপু একটা বলও করলেন না সেই ম্যাচে। ব্যাটিং অর্ডারে ১১ নম্বরে নাম থাকা অপু তাহলে কেন একাদশে?
এত সব প্রশ্নের উত্তর কে দেবে, তা অজানা। স্বাভাবিকভাবেই, গুঞ্জন ও গুজবের পালে বাড়ছে হাওয়া, ঘন হচ্ছে শঙ্কার মেঘ! ফিক্সিং আর ফিক্সার কি তবে ঘর বাড়ি করে ফেলেছে বিপিএলে!
আরও পড়ুন: তীরে গিয়ে তরী ডুবলো ঢাকার
Leave a reply