জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যেহেতু কোটা থাকলে বার বার সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন হবে, তাই আর কোটা পদ্ধতি রাখারই দরকার নেই। আমি বলে দিয়েছি সরকারি চাকরিতে আর কোনো কোটা থাকবে না। সব নিয়োগই মেধার ভিত্তিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের রাস্তা ছেড়ে ক্লাসরুমে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
তবে, প্রতিবন্ধী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ বিবেচনায় চাকরির ব্যবস্থা করা হবে জানিয়েছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ভিসির বাসভবনে হামলার ঘটনা ন্যাক্কারজনক। এই হামলা পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর বর্বরতাকে হার মানিয়েছে। যারা এটা করেছে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে পারে না। তারা ছাত্র বলে আমি বিশ্বাস করি না।
আন্দোলনের কারণে জনদুর্ভোগের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাস্তা অবরোধ করে রাখা হয়েছে। রোগীরা হাসপাতালে যেতে পারছেন না।
তিনি বলেন, আমি লক্ষ্য করলাম, হঠাৎ করে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে রাস্তায় নেমে গেলো অনেকে। রাত ২টার সময় গেট ভেঙে রাস্তা নেমে এলো ছাত্রীরা। এসব মেনে নেয়া যায় না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে আমরা আলোচনা করেছি। পরীক্ষা নিরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছি। এটা কেবিনেট সেক্রেটারির মাধ্যমে জানানো হলো। তারপর কিছু ছাত্র এটা মেনে নিলো। কিন্তু অনেকে রাস্তা থেকে গেল না। রাতের বেলা ভাঙচুর করলো। এসব কেন করা হলো? ঢাকার বাইরেও তারা রাস্তায় নেমে গেল। কোটা সংস্কারের দাবি নতুন নয়। আগেও উঠেছে এবং সংস্কারও করা হয়েছে। কিন্তু এরপরও দাবি উঠছে। যেহেতু কোটা থাকলে বারবার এমন দাবি উঠবে, তাই আর কোটা রাখারই দরকার নেই।
সংসদ সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানকের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
Leave a reply