কর্তব্যরত এক চিকিৎসককে হাসপাতালের মধ্যে প্রকাশ্য থাপ্পড় মারার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে ঘিরে চরম উত্তেজনা দেখা দিয়েছে ভারতের মালদা মেডিকাল কলেজ হাসপাতাল চত্বরে। অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছেন চিকিৎসকরা। খবর হিন্দুস্থান টাইমসের।
খবরে বলা হয়, চড় মারার অভিযোগ কার্যত স্বীকার করে নিয়েছেন ওই পুলিশ সদস্য। তবে চড় মারার পর তিনি জানতে পারেন ওই ব্যক্তি চিকিৎসক।
ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডা. শৌভিক সাহা বলেন, আমি ওটিতে (অপারেশন থিয়েটারে) ছিলাম। জুনিয়রের কাছ থেকে ফোন পেয়ে রোগী দেখার জন্য যাচ্ছিলাম। সেই সময় গেটে আমাকে ধাক্কা মারেন। আমি ফিরে তাকাতেই আমাকে সজোরে চড় মারেন। এতো জোরে চড় মেরেছে যে পাঁচ আঙুলের দাগ হয়ে গিয়েছে। পুলিশ বলে চড় মারলো। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি করছি। তারপরও এই ঘটনা। আমাদের সুরক্ষার জন্য ওদের দেয়া হয়েছিল। আর সেই পুলিশই আমাদের ওপর চড়াও হচ্ছে।
এদিকে অভিযুক্ত পুলিশ সদস্য ওই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, চারজন আসামিকে নিয়ে এসেছিলাম হাসপাতালে। প্রতিবারই আসামি নিয়ে আসার সময় সকলকে সরে যেতে বলি। তাকেও সরে যেতে বলি। কিন্তু তিনি আসামির সঙ্গেও কথা বলছিলেন। এরপর আমি এক চড় মারি। তারপর পরিচয় হলো, তিনি একজন স্টুডেন্ট। বলেছিলাম, কিন্তু শোনেননি। বাংলাদেশি আসামি সঙ্গে ছিল। যদি পালিয়ে যায় আমারও তো চাকরি বাঁচাতে হবে।
আরও পড়ুন: মেয়েদের উত্তেজক পোশাকের জন্যই ভারতে ধর্ষণ বাড়ছে: বিজেবি বিধায়ক
ইউএইচ/
Leave a reply