হিজাব নিয়ে কর্নাটকের ঘটনায় প্রতিবাদ হয়েছে দিল্লির শাহিনবাগে। মুসলিম নারীদের এ বিক্ষোভে বলা হয়, হিজাবের ওপর কোনো নিষেধাজ্ঞা বা আক্রমণ তারা সহ্য করবেন না। ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হিসেবে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরা শিক্ষার্থীর অধিকার বলেও দাবি করেন তারা।
হিজাব নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে কর্নাটক রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে, সামাজিক মাধ্যমসহ বিভিন্ন স্থানে চলছে পক্ষে-বিপক্ষে যুক্তিতর্ক। ভারতের কর্নাটকের ঘটনার প্রতিবাদে গত বুধবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানী নয়া দিল্লির শাহিনবাগে জড়ো হন শতশত মুসলিম নারী। একসাথে নামাজ আদায় করেন তারা। সেখানে প্রতিবাদে উপস্থিত নারীরা বলেন, যেকোনো ধরনের অন্যায়, অবিচার শক্ত হাতে প্রতিহত করা হবে। দেশের কোথাও হিজাবের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের পদক্ষেপ নিলে তা সহ্য করা হবে না। আমরা দেখতে পাচ্ছি, সম্প্রতি ইসলাম এবং মুসলিমদের ওপর আক্রমণ বাড়ছে। দেশকে হিন্দু মতাদর্শের দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
হিজাব ইস্যুতে ভারতজুড়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয় গত মঙ্গলবার। কর্নাটকে মুসলিম ছাত্রী মুসকান বোরকা পড়ে কলেজে ঢুকতে গেলে হেনস্তার শিকার হন। এই ঘটনা নিয়ে বিক্ষোভকারী ফারহিন আক্তার বলেন, আমি বুঝতে পারছি না শিক্ষার সাথে কেন হিজাবকে টানা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এমন আচরণ খুবই লজ্জাজনক। আর সরকারই বা কেন কিছু ভাবছে না এটি নিয়ে! কর্নাটকের শিক্ষার্থীরা হিজাব পরে ক্লাসে গেলে তাদের কেন আলাদা বসতে দেয়া হচ্ছে?
কর্নাটকের ওই ঘটনায় টুইট করেছেন নোবেলজয়ী মালালা ইউসুফজাই। পোশাকের কারণে নারীদের স্বাধীনতা ব্যাহত না করার আহ্বান জানান তিনি।
আরও পড়ুন: ‘আল্লাহু আকবর’ বলে ভাইরাল সেই ছাত্রীকে ৫ লক্ষ রুপি পুরস্কার ঘোষণা
Leave a reply