ইউক্রেনকে ঘিরে উত্তেজনার মধ্যেই বহুল আলোচিত রুশ-বেলারুশ যৌথ সামরিক মহড়া শুরু হচ্ছে আজ (১০ ফেব্রুয়ারি)। ন্যাটো বলছে, এই মহড়াকে ঘিরে বেলারুশে মোতায়েন করা হয় স্নায়ুযুদ্ধ পরবর্তী সবচেয়ে বড় সেনাবহর। মস্কোর এ ধরনের পদক্ষেপকে উস্কানিমূলক আচরণ বলে আখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। আর চলমান উত্তেজনা কমিয়ে কূটনৈতিক সমাধানের পথেই হাঁটতে চাইছে কিয়েভ। তবে, আলোচনার নামে শর্ত চাপিয়ে দিতে চাইলে আপোষ করবে না তারা বলে হুঁশিয়ারিও দিয়েছে তারা।
রুশ-বেলারুশ সামরিক মহড়াকে ঘিরে কয়েক সপ্তাহের প্রস্তুতির মধ্যেই যেন ছিল যুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিত। রুশ যুদ্ধবিমান, ট্যাংক, অস্ত্রশস্ত্র জড়ো করা হয়েছে ইউক্রেন সীমান্তে। পাঠানো হয়েছে বিপুল সংখ্যক সেনা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, রাশিয়া-বেলারুশ আকাশসীমায় টহল দিচ্ছে এস ইউ থার্টি ফাইভ এস ফাইটার জেট। সুখইয়ের আরও কয়েকটি বিমান প্রস্তুত রাখা হয়েছে প্রদর্শনীর জন্য। বহুল আলোচিত এই মহড়া চলবে ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
রুশ-বেলারুশ মহড়া নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম উস্কানিমূলক বলে আখ্যা দিয়েছে হোয়াইট হাউজ। মুখপাত্র জেন সাকি বলেন, রাশিয়ার সামরিক মহড়ার প্রস্তুতি দেখে মনে হচ্ছে না তারা উত্তেজনা কমাতে চাইছে। বরং আরও উস্কানিমূলক পদক্ষেপ এটা। একেবারে ইউক্রেনের সীমান্তেই হচ্ছে। তো এটা অবশ্যই উদ্বেগজনক। তবে আগ্রাসন নিয়ে কোনো পূর্বাভাস দিতে পারবো না।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে বাড়তে থাকা উত্তেজনা নিরসনে তিন পশ্চিমা নেতার বৈঠক
সংকট সমাধানে আলোচনার পথেই হাঁটতে চাইছে ইউক্রেন। তবে, কোনো শর্ত চাপিয়ে দেয়া হলে মানবে না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা। তিনি বলেন, শোনা যাচ্ছিলো ডিসেম্বরের শেষেই শুরু হবে যুদ্ধ। তারপর জানুয়ারি, তারপর ফেব্রুয়ারি। ঈশ্বরকে ধন্যবাদ যে এখনও আলোচনার পর্যায়েই আছি। তবে কেউ এসে যদি কোনো মতামত চাপিয়ে দিতে চায়, সে আলোচনার মানে নেই। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ম্যাকরনের সাথে বৈঠক খুবই গঠনমূলক ছিল। কারণ, কোনো সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব নয়, আমরা মতামত আদানপ্রদান করেছি।
আরেকদিকে, ন্যাটো বাহিনীর প্রস্তুতিও চলছে সমান তালে। জার্মানি থেকে ২য় ধাপে মার্কিন সেনা পাঠানো হয়েছে পোল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ঘাঁটিতে। রোমানিয়াতেও পৌঁছেছে সেনাদের আরেকটি দল।
আরও পড়ুন: ইউক্রেনে আরও ১০০০ সৈন্য মোতায়েনে প্রস্তুত ব্রিটেন
Leave a reply