ঝিনাইদহ প্রতিনিধি:
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসুন্ধি ইউনিয়নের মিয়াকুন্ডু গ্রামের আহমেদ মোল্যার ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী আক্তারুল ইসলামের (২৩) দু’টি কিডনি বিকল হয়ে পড়েছে। অনার্স পড়ুয়া এ শিক্ষার্থী চিকিৎসাহীনতায় ধীরে ধীরে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন। পরিবারে উপার্জন অক্ষম বৃদ্ধ পিতা ও
দিনমজুর ভাইয়ের সংসারে এখন আর মিলছে না অর্থ। ফলে চিকিৎসাহীনতায় সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন আক্তারুল ও তার পরিবার।
শিক্ষাজীবনে প্রথমে আক্তারুল নারিকেলবাড়িয়া জেড এ মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১৩ সালে এসএসসি ও নারিকেলবাড়িয়া আমেনা খাতুন কলেজ থেকে ২০১৫ সালে এইচএসসি পরীক্ষায় এ প্লাস ফলাফল পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে ঝিনাইদহ সরকারি কেসি কলেজে পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন।
তিন বছর পার হতে না হতেই তার শরীরে ধরা পড়ে দুরারোগ্য কিডনি জনিত রোগ। পিতার সহায়সম্বল হারিয়ে দুই বছর যাবত চিকিৎসা নিয়ে আসছিলেন এ শিক্ষার্থী।
মেডিকেল রিপোর্টে মিল থাকায় আক্তারুলের পরিবারের সাথে কিডনি প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। কিন্তু অর্থাভাবে তা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সুন্দর পৃথিবীতে স্বাভাবিক জীবন ফিরে পেতে সমাজের সকল হৃদয়বান, বিত্তশালী, দানশীল, সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের নিকট সাহায্যের আকুতি জানিয়েছেন এ শিক্ষার্থী ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী আক্তারুল ইসলাম জানান, আমি মৃত্যুপথযাত্রী। আমাকে আপনারা বাঁচান। আল্লাহর রহমতে আমি আপনাদের সহযোগিতায় সুস্থ হলে বাকি জীবন মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাব।
আক্তারুলের পিতা আহম্মদ মোল্লা বলেন, আমার সাথে মেডিকেল রিপোর্ট মিললে আমি আমার সন্তানকে কিডনি দিতে চাই। সেই সাথে তার মা ডালিম বেগমও সন্তানকে বাঁচাতে কিডনি দিতে প্রস্তুত।
এ ব্যাপারে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ফুরসুন্ধি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম শিকদার জানান, আক্তারুল ইসলাম অত্যন্ত মেধাবী শিক্ষার্থী। ছোটবেলা থেকে ধার্মিক প্রকৃতির। কিন্তু বর্তমানে পরিবারটি অসহায় হওয়ায় জীবনমৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছেন। তিনি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন।
আক্তারুল ইসলামের ইসলামি ব্যাংক, ঝিনাইদহ শাখা হিসাব নং- ২০৫০১৭৫০২০৪১০৯২১৭, বিকাশ/নগদ নম্বর ০১৯৮০-৫৮৭৩২৬ রকেট নম্বর ০১৯৮০-৫৮৭৩২৬-১ এবং যেকোনো প্রয়োজনে পরিবারের পক্ষ থেকে আলিফ ইসলামের (০১৮৮৮-৪৪৪১৪১) সাথে যোগাযোগের অনুরোধ জানানো হয়।
জেডআই/
Leave a reply