যুক্তরাষ্ট্রে বাড়ছে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা, সবচেয়ে বেশি সানফ্রান্সিসকোতে

|

ছবি: সংগৃহীত।

বিশ্বের শীর্ষ ধনী দেশ হলেও যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা কয়েক লাখ। জীবনযাত্রার উন্নয়ন আর অর্থনীতির সূচক ঊর্ধ্বমুখী হলেও দেশটিতে বেড়েই চলেছে ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা। যা প্রকট আকার ধারণ করেছে দেশটির অন্যতম সম্পদশালী শহর সানফ্রান্সিসকোয়।

মার্কিন মুল্লুকের শহরগুলোর মধ্যে সম্পদের দিক থেকে প্রথম সারিতে থাকা ঝাঁ-চকচকে সানফ্রান্সিসকোর রয়েছে আরেক রূপ। অর্থনীতির কলেবর বেড়ে চললেও শহরের রাস্তায় বেড়েছে ছিন্নমূল মানুষের সংখ্যা। ফুটপাতগুলো হয়ে উঠেছে মাদক আর অপরাধের আখড়া।

কুইভার ওয়াটস নামে এক সমাজকর্মী বলেন, বেঁচে থাকার জন্য বাধ্য হয়ে অনেক কিছুই এখানকার ছিন্নমূল মানুষরা করে। যেটাকে অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে তাদের কথাতো কেউ ভাবে না।

সান ফ্রান্সিসকোয় গৃহহীনের সংখ্যা বাড়তে শুরু করে আশির দশকে। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগ্যানের আমলে হঠাৎই কমিয়ে দেয়া হয় আবাসনের সুযোগ সুবিধা। বেকারত্ব আর মূল্যস্ফীতি সংকট বাড়ায় আরও। পশ্চিম উপকূলের আবহাওয়া কিছুটা সুবিধাজনক হওয়ায় এই অঞ্চলের রাস্তায় ঠাঁই নিতে শুরু করে ঘরহীন মানুষ। সরকার বদল হলেও উন্নতি হয়নি পরিস্থিতির।

কুইভার ওয়াটস আরও বলেন, ডেমোক্র্যাট হোক বা রিপাবলিকান, ছিন্নমূলদের বিষয়ে একই নীতি। কোনো উদ্যোগ নেই। কারণ তারা পুঁজিবাদের পেছনেই বিনিয়োগ করে। সমবণ্টনের চেয়ে কিছু সংখ্যক মানুষের সম্পদ টিকিয়ে রাখতে কাজ করে।

ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীর কারণে বেড়ে গেছে অপরাধের মাত্রা। গত ডিসেম্বরে ৯০ দিনের জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন সান ফ্রান্সিসকোর মেয়র। চলে বিতর্কিত উচ্ছেদ অভিযান। তবে লাভ হয়নি খুব একটা। এক জায়গা থেকে তুলে দিলে আরেক এলাকায় ঠাঁই নেয় মানুষ।

বেন ব্যাকোওস্কি নামে এক উন্নয়ন কর্মী বলেন, গৃহহীনদের ঘর দরকার। সেটাই আসল কথা। অথচ তা নিয়ে কারও মাথা ব্যাথা নেই। পুলিশ এসে ফুটপাত থেকে তুলে দেয়। কিন্তু কোথায় যেতে হবে সে সমাধান দেয় না।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে গৃহহীন মানুষের সংখ্যা ৫ লাখ ৮০ হাজারেরও বেশি।

জেডআই/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply