গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষার সংকটগুলো কী?

|

বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য গেল শিক্ষাবর্ষ থেকে শুরু হয়েছে গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষা। ২০টি সাধারণ ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা নতুন এই পদ্ধতিতে বেশ কিছু ব্যবস্থাপনা ত্রুটি চিহ্নিত করা হয়েছে। কোনো বিশ্ববিদ্যালয় পূরণ করতে পারেনি আসন আবার পছন্দের বিষয় না পেয়ে ভর্তিও হননি অনেক শিক্ষার্থী। ব্যবস্থাপনাগত ত্রুটি দূর করে গুচ্ছ পদ্ধতি গতিশীল করার তাগিদ শিক্ষা সংশ্লিষ্টদের।

ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটকে বাদ দিয়ে বাকি ২০টি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে প্রথমবারের মত চালু হয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তিযুদ্ধে ভোগান্তি কমানোর এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছিল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকরা।

২৩ হাজার ১০৪টি আসনের বিপরীতে আবেদনকারী ছিল ২ লাখের বেশি। বেশকিছু বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কার্যক্রম শেষ করেছে। তবে কোনো কোনটি কয়েকধাপে মেধাতালিকা প্রকাশ করেও আসন পূরণ করতে পারেনি। আবার অনেক শিক্ষার্থী পছন্দের বিষয় না পাওয়ায় ঝুলে আছে ভর্তি কার্যক্রম। এসব কারণেই গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কার্যক্রম বিলম্বিত হচ্ছে বলে মনে করেন গুচ্ছ ভর্তির টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ড. অধ্যাপক মুনাজ আহমেদ।

গুচ্ছ পদ্ধতিটি নতুন হওয়ায় শুরুর দিকে সমন্বয়ে ঘাটতির কথা স্বীকার করছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। ইউজিসি সদস্য ড. অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর জানালেন,

তবে গুচ্ছ পদ্ধতির কারণে ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের যাতায়াত ভোগান্তি কমেছে বলে মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বিদ্যমান ত্রুটিগুলো দূর করা গেলে সবার কাছে নতুন পদ্ধতি গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা শিক্ষামন্ত্রীর।

আর গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি প্রক্রিয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণগুলো যাই হোক না কেন, সেগুলোকে সমাধানযোগ্য বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইইআরের অধ্যাপক ড. মোহাম্মাদ আলী জিন্নাহ।

২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে কবে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে সে দিনক্ষন বলতে পারছে না এর সাথে জড়িত কর্তাব্যক্তিরা।

/এডব্লিউ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply