রাজ-পরীমণির বিয়ের বৈধতা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ

|

ছবি: সংগৃহীত।

কুমিল্লা ব্যুরো:

সমালোচনা যেন পিছুই ছাড়ছে না বহুল আলোচিত-সমালোচিত নায়িকা পরীমণির। গোপনে বিয়ে এবং হঠাৎ তার সন্তান সম্ভবা হওয়া নিয়ে প্রশ্ন এখন দর্শক-শ্রোতা সবার মনে। ফলে আগের বিয়ে, ডিভোর্স ও বর্তমান বিয়ের বৈধতা জানতে চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন কুমিল্লার জজকোর্টের আইনজীবী জয়নাল আবেদীন মাযহারী। আগামী সাত কর্মদিবসে নোটিসের জবাব না এলে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী জয়নাল আবেদীন।

মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে পরীমণি ও রাজকে পাঠানো নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, গত ২০১২ সালের ৪ এপ্রিল নায়িকা পরীমণি যশোরের কেশবপুর এলাকার যুবক ফেরদৌস কবির সৌরভের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন৷ তখন তাদের বিয়ের কাবিন ছিল ১ লাখ টাকা দেনমোহর। বিয়েটি রেজিষ্ট্রি হয় কেশবপুর শহরের অফিসপাড়ার পাবলিক ময়দান এলাকার ফাতেমা মঞ্জিলে এবং পৌরসভার কাজী এম ইমরানের হোসেনের মাধ্যমে। অথচ পরে ওই বিয়ের ডিভোর্স ছাড়াই পরীমনি গত বছর ১৭ অক্টোবর ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার শরীফুল রাজের সাথে বিয়ে বন্ধনে আবদ্ধ হন। তার এ বিয়ে বেআইনি বলে দাবি তুলেছেন এ আইনজীবী।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন পরীমণি ও রাজ। যেখানে উল্লেখ করা হয়, পরীমণি পরের বিয়েটি ১০১ টাকা দেনমোহরে কাবিন করা হয়েছে। রাজ ও পরীমনি দুজনকেই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে উল্লেখ করে এ আইনজীবী বলেন, আমি জানতে চেয়েছি পরীমণি তার আগের বিয়েতে ডিভোর্স না দিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন কীভাবে।

এছাড়াও যখন সন্তান সম্ভবা তখন দ্বিতীয় বিয়ের কথা মিডিয়াতে প্রচার করেছেন কেনো? আমি নিশ্চত হয়েছি তার প্রথম বিয়ের ডিভোর্স হয়নি এবং দ্বিতীয় বিয়েরও বৈধতাও নেই। দেশের প্রচলিত আইনে তারা অপরাধ করেছেন। এছাড়াও সন্তান সম্ভাবা হয়ে পড়ে বিয়ে করে পরীমণি মুসলিম রীতিনীতি ভঙ্গ করেছেন।

তিনি আরও বলেন, যদি তাদের কাছে এর পক্ষে বৈধ কাগজপত্র থাকে তাহলে তা জনসম্মুখে আনতে হবে। না হয় আগামী সাত কর্মদিবসে যদি নোটিশের জবাব না পাই তাহলে আমি আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। কেনো এই আইনি নোটিশ? এ বিষয়ে ওই আইনজীবী বলেন, আমি কোনো আলোচনায় আসতে এমনটি করিনি, বিবেকের তাড়নায় করেছি। এটা আমার দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

এসজেড/


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply