ফুচকা! শব্দটা শুনলেই জিভে পানি চলে আসে! শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে পারেন এই ফুচকার সাহায্যে। ফুচকা আপনার বাড়তি ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে! বিশ্বাস করছেন না তো? এই ফুচকা যে মেদ কমাতে সাহায্য করে তা জানা ছিল কি? অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। যে জিনিসগুলো দিয়ে ফুচকার আলু মাখা হয় ও পানি বানানো হয় তা আসলে শরীরের জন্য ভালো।
নিউজ এইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়, আলুর সাথে মাখা জিরার গুঁড়া এবং পুদিনা পাতা শরীরের জন্য খুব উপকারী। পুদিনা পাতায় থাকে ভিটামিন এ, ফাইবার, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ। এতে হজম ভালো হয়। টক পানিতে অনেক সময় পুদিনা পাতা মেশানো হয়, এতে ওজন কমে। এছাড়াও এতে থাকা লবণ দেহে জলের পরিমাণ বাড়ায়।
জিরার গুঁড়া তো শরীরের জন্য অনেক ভালো। এছাড়াও যদি প্রতিদিন একবার গোটা জিরা পানিতে মিশিয়ে সেই পানি খাওয়া যায় তাহলে তা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
বিখ্যাত ফুড ব্লগার তরলা দালাল তার বইতে লিখেছেন, ফুচকার মধ্যে কার্বোহাইড্রেট থাকে ২০৭ ক্যালোরি, এবং প্রোটিন ৩৪ ক্যালোরি এবং অবশিষ্ট ক্যালোরি ফ্যাট থেকে আসে যার পরিমাণ ৮২। ফুচকার এই গোটা পরিবেশনে আসলে লুকিয়ে থাকে ২০০০ ক্যালোরি। তবে যদি টক পানি দিয়ে খাওয়া যায় তাহলে ক্যালরির পরিমাণ কমলেও কমতে পারে।
ফুচকা তৈরি হয় ময়দা দিয়ে। এবং শুধু তাই নয় এটি ছাঁকা তেলে ভাজা হয়, যা শরীরের জন্য একেবারেই ভালো নয়। এতে দেহে ক্যালোরির পরিমাণ বাড়ে। আর তাতে ফ্যাট আরও বাড়ে। যে কোনো ধরনের ভাজা খাবারই শরীরে ফ্যাট বাড়ায়। আর সেটা যদি হয় ছাঁকা তেলে ভাজা, তাহলে তো কথাই নেই। তবে ফুচকার পানি খাওয়া একেবারেই খারাপ নয়। মাসে দুই তিনবার ফুচকা খাওয়া জেতেই পারে। সাধারণত ফুচকার মধ্যের খারাপ জিনিসগুলি এই টক পানির মাধ্যমে দূর হয়ে যায়। আর শরীর খারাপ ভালো মিলিয়ে সবটা ব্যালেন্স হয়ে যায়।
ইউএইচ/
Leave a reply