কুমিল্লার শিরোপা জয় নিয়ে যা বললেন কোচ সালাউদ্দিন ও ইমরুল কায়েস

|

মো. সালাউদ্দিন ও ইমরুল কায়েস

ফাইনালের আগেই দুই দলের মাস্টার মাইন্ডরা জানিয়েছিলেন শেষ বল পর্যন্ত হবে লড়াই। যারা স্নায়ুর চাপ নিতে পারবে তারাই ঘরে নেবে শিরোপা, হলোও তাই। হাতে ছিলো ৫ উইকেট, ১৮ বলে দরকার ছিল ১৮ রান। এমন অবস্থা থেকে ম্যাচ বের করতে পারায় ছেলেদের প্রসংশায় পঞ্চমুখ কোচ সালাউদ্দিন। আর অধিনায়ক ইমরুল এগিয়ে রাখলেন বোলারদের।

এদিকে ব্যাটিং ব্যর্থতা কিছুটা ভোগালেও কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস প্রশংসায় ভাসিয়েছেন দলটির বোলারদের। তৃতীয়বারের মতো বিপিএল শিরোপা ঘরে তুলতে পেরে, দারুণ খুশি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপারসন নাফিসা কামাল। অপরদিকে, অল্পের জন্য শিরোপা হাতছাড়া হওয়ায় হতাশ ফরচুন বরিশালের কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন ও অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। তবে পরের আসরে আরও শক্তভাবে ফিরে আসার আশ্বাস ফরচুন বরিশালের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের।

দেশ বরেণ্য ক্রিকেট কোচ মো. সালাউদ্দিন মনে করেন, শেষ বল পর্যন্ত ম্যাচের চাপ ধরে রাখতে পারাতেই জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। তিনি বলেন, খেলা তো আমার মনে হয় পুরোটাই বরিশালের হাতেই ছিল। আমার মনে হয় তারা খারাপ খেলেছে। কিন্তু আমি আমাদের ছেলেদের ক্রেডিট দিবো, কারণ ওরা শেষ পর্যন্ত নার্ভটা ধরে রেখেছে। লাস্ট ৩ ওভারেও কিন্তু খেলাটা বরিশালের হাতেই ছিল। সেখান থেকে বোলাররা যেভাবে কামব্যাক করেছে এটার পুরো ক্রেডিট আমাদের ছেলেদেরই।

কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলেন, আমি বিদেশিদের ওপর ট্রাস্ট করতে চাই না। আমি শহিদুলকে বলেছিলাম যে, আমি চাই তুই এই ম্যাচটা জিতাবি। এবং ওকে যেভাবে বোলিংয়ের ইন্সট্রাকশন দিয়েছিলাম ও ঠিক সেটাই করেছে। এজন্য আমারও ফিল্ডিং সেটআপ করতে সুবিধা হয়েছে। এভাবে শিরোপা জিতবো ভাবিনি। ব্যাটিং নিয়ে কিছুটা হতাশা ছিল। তবে বোলাররা দুর্দান্ত করেছে। সব মিলিয়ে দলীয় নৈপুণ্যে শিরোপা জিতেছি আমরা।

আর শেষ মুহূর্তের এমন হারে হতাশা ফরচুন বরিশালের শিবিরে। কোচ সুজন মানতে পারছেন না এমন হার। তিনি বলেন, আমি একটু আপসেট যে আমি ছেলেদের ইমপ্রুভমেন্ট দেখছি না। আমি ওদের কাছে অনেক বেশি এক্সপেক্ট করি টু বি ভেরি অনেস্ট। ওরা সবাই কোয়ালিটি প্লেয়ার্স। কিন্তু আপনি যদি ম্যাচেই সেটা প্রমাণ করতে না পারেন, তাহলে কোথায় প্রমাণ করছেন সেটা।

অপরদিকে, ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান সিরিজ সেরা হলেও শিরোপা তার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল বলে জানান। তিনি বলেন, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ ছিল, দুইদলই ভালো খেলেছে। তবে যোগ্য দল হিসেবে শিরোপা জিতেছে কুমিল্লা। আগামী বছর আমরা ভালো করবো। টুর্নামেন্ট সেরার পুরস্কারের চেয়ে শিরোপা জিততে পারলে বেশি ভালো লাগতো।

এদিকে, তৃতীয় বারের মতো শিরোপা হাতে তুলতে পেরে বাঁধ ভাঙ্গা খুশিতে ভাসছে দলটি চেয়ারপারসন নাফিসা কামাল। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের চেয়ারপার্সন বলেন, তৃতীয়বারের মতো শিরোপা জিততে পেরে খুবই ভালো লাগছে। আমাদের খেলোয়াড়দের ওপর আমার আস্থা ছিল, তারা আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। টুর্নামেন্টের অভিজ্ঞতা যতোটা কঠিন ছিল, এখন ততটাই ভাল লাগছে।

আর ফরচুন বরিশাল পরের আসরে আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরে আসতে চায় বলে জানালেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, আমাদের প্লেয়াররা সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে, আমরাও চেষ্টা করেছি। ক্রিকেট নিয়ে সামনে আমাদের আরও পরিকল্পনা আছে। আমরা প্লেয়ার হান্টিংয়ে যাবো, বিভাগীয় বা জেলা পর্যায়েও প্লেয়ার হান্টিংয়ের পরিকল্পনা আছে আমাদের। আমরা স্কুল পর্যায়েও প্লেয়ার হান্ট শুরু করবো বলে পরিকল্পনা আছে। এমনকি বরিশালে ওয়ার্ড পর্যায় থেকেও খেলোয়াড় বের করার পরিকল্পনা আমাদের।


/এসএইচ


সম্পর্কিত আরও পড়ুন




Leave a reply